#নয়াদিল্লি: বড় মুখ করে ভারত বিরোধিতায় নেমেছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রীর কে পি শর্মা ওলি। মানচিত্রে পরিবর্তন করেছিলেন, বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ভারতকে বেকায়দায় ফেলতে চিনের ইন্ধন নিয়ে বড় ফ্রন্টফুটে খেলছে নেপাল। কিন্তু যার নিজের ঘর সামলানোর উপায় নেই, সে অন্য দেশকে কী চাপে ফেলবে! ভারতের প্রতি নেপাল সরকারের ভূমিকা নিয়েই এবার বেজায় গোলমাল বেঁধে গিয়েছে নেপালের শাসক বামপন্থী দলের মধ্যেই।
কাঠমাণ্ডু পোস্ট, মাই রিপাবলিকা খবরের কাগজ সহ একাধিক পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে, ওলি নিজে স্বীকার করেছেন, তাঁর দলের সদস্য, তাঁর মন্ত্রীসভার সদস্যরাই চাইছেন, তিনি যাতে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে না থাকেন। তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাঁকে দলের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। নিজেই স্বীকার করেছেন, বামপন্থী দলের ঐক্য গভীর সংকটে রয়েছে। তিনি নাকি মন্ত্রীদের বলেছেন, বাজেট অধিবেশনের আগে তাঁকে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত দ্রুত নিতে হবে। তাই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। কথা বলেছেন প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও। তারপর নাকি তিনি তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য ও দলের নেতাদের বলেছেন, তাঁরা তাঁকে সমর্থন করছেন, না বিরোধিতা করছেন, সেটা স্পষ্ট করে জানাতে। দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির সিদ্ধান্ত তাঁকে জোর করে গ্রহণ করতে বললে তিনি গ্রহণ করবেন না বলেও নাকি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। আর ঘটনা যদি এভাবেই গড়ায়, তাহলে হয় ওলিকে সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দল বহিস্কার করবে, অথবা তিনি সব ছেড়ে বেরিয়ে নতুন দল তৈরি করবেন। মানে এককথায় ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে নেপালের রাজনীতির সমীকরণই হঠাৎ পাল্টে যেতে বসেছে।