#আমেরিকা: যদি সংস্কারের দিক থেকে ধরতে হয়, তা হলে হ্যালোউইন নিঃসন্দেহে মহাজাগতিক উৎসব! লোকবিশ্বাস বলে- এই রাতে মহাশূন্য থেকে পৃথিবীতে নেমে আসেন মৃত আত্মারা!কিন্তু বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে যদি বিচার করতে হয়, তা হলে এই লোকবিশ্বাসের কোনও প্রমাণ মেলেনা। তার সার্থকতা কেবল উৎসবের উদযাপনে আর মানুষের আনন্দে। চলতি বছরের হ্যালোউইন উৎসবের এই লোকবিশ্বাসের আনন্দে সামিল হয়েছে ন্যাশনাল এয়ারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ওরফে নাসা-র মতো বৈজ্ঞানিক সংগঠনও। সম্প্রতি নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে হ্যালোউইনকে কেন্দ্র করে একের পর এক ছবি আর ভিডিও সংস্থা পোস্ট করে চলেছে NASA ।
শুরুটা হয়েছিল হ্যালোউইন উৎসবের প্রাক্কালেই। সূর্যের মতোই তেজস্বী অথচ বর্তমানে মৃত এক নক্ষত্রের বাইরের অংশের এক ছবি পোস্ট করেছিল নাসা যা দেখে এক ভুতুড়ে লজেন্স বলে মনে হয়েছিল। তার পর যেমনি এগিয়ে এল হ্যালোউইন, নাসা-র তরফে চমকের মাত্রা বাড়ল বই কমল না!
যেমন, মহাজাগতিক ভুতুড়ে লন্ঠনের কথাই ধরা যাক! মার্কিন মুলুকে হ্যালোউইন উদযাপনের অন্যতম অঙ্গই হল কুমড়ো কেটে, তাতে নাক-মুখের আদল কেটে তৈরি করা লন্ঠন! মাটির পৃথিবী যখন এই লন্ঠনের সাজে সেজে উঠেছে, ঠিক এমন সময়েই সবাইকে অবাক করে এক ছবি পোস্ট করল নাসা। সেই ছবিতে দেখা গেল যে মহাকাশেও ভেসে উঠেছে এমন এক ভুতুড়ে লন্ঠন! নাসার দাবি, আদতে ওটা দুই ছায়াপথের সংঘর্ষের ছবি! দুই ছায়াপথ পরস্পরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে আউটলাইন তৈরি করেছে, তার ফলেই আপনাআপনি তৈরি হয়েছে এই ভুতুড়ে লন্ঠন!তার পরে এক সময়ে হ্যালোউইন উৎসব এসে চলেও গেল! কিন্তু কোনও উৎসবেরই রেশ সহজে ফুরাতে চায় না। দেখা গেল, নাসা ঠিক সেই আবেগের জায়গায় এ বার ঘা দিয়েছে। সম্প্রতি দুই ছায়াপথের সংঘর্ষের শব্দের ভিডিও পেশ করেছে।
মহাশূন্যে কোনও আওয়াজের অস্তিত্ব থাকে না। নাসা যে কৌশলে তা স্থাপন করেছে, তাকে বলা হয় সনিফিকেশন। অর্থাৎ ছবিকে শব্দে রূপান্তর করে দেওয়া! ঠিক যেমন দেখা যাচ্ছে ভিডিওয়, সে ভাবেই কোনও ছবির বাম দিক থেকে ডান দিকে ধীরে ধীরে সনিফিকেশন সম্পন্ন হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: NASA