হোম /খবর /বিদেশ /
ব্রহ্মাণ্ডের উৎস খুঁজতে ২০ কোটি মাইল দূরে গ্রহাণুতে পৌঁছল মহাকাশযান

নাসার বড় সাফল্য!‌ ব্রহ্মাণ্ডের উৎস খুঁজতে ২০ কোটি মাইল দূরে গ্রহাণুতে পৌঁছল মহাকাশযান

নাসার প্ল্যানেটারি সায়েন্সের বিজ্ঞানী লোরি গ্লেজ জানিয়েছেন, এই গ্রহাণু সম্পর্কে জানতে পারলে পৃথিবীর উৎপত্তি নিয়ে অনেক কথায় জানা যাবে।

  • Last Updated :
  • Share this:

বাদামের মতো দেখতে এক গ্রহাণু!‌ বয়স ৪৫০ কোটি বছর। সৌরজগতে যে ১০ লক্ষের কাছাকাছি গ্রহাণু রয়েছে, তার মধ্যে Bennu অন্যতম একটি। আর সেটিতেই এবার পা রাখল নাসার মহাকাশযান। মহাকাশযানটির আকার অনেকটা লম্বা বাসের মতো। সেটি পৃথিবী থেকে এই বিপুল দূরত্বে অবস্থিত গ্রহাণুকে নতুন করে চিনতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। আর যদি সফলভাবে এই মহাকাশযান পৃথিবীতে ফিরে আসে, তাহলে অ্যাপোলে যুগ পেরিয়ে এটিই হবে নাসার সবচেয়ে বড় সাফল্য। তাই বিজ্ঞানীরা আপ্লুত, ওই গ্রহাণুর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারলে অনেক রহস্যের হয়ত সমাধান করা যাবে। বোঝা যাবে কোত্থেকে এল বিশাল সৌরজগত, কী ভাবে পৃথিবীতে তৈরি হল জল, কীভাবে প্রাণ সৃষ্টি হল।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মহাকাশযানটি ইতিমধ্যে ওই গ্রহাণুতে পা রেখেছে। সেখান থেকে নানারকম উপাদান সংগ্রহ করবে যানটি। সর্বোচ্চ ২ কিলোগ্রাম পর্যন্ত উপাদান সংগ্রহ করতে পারবে এটি। ২০২৩ সালে পৃথিবীতে ফেরত এলে সেই উপাদান পর্যবেক্ষণ করে অনেক অজানা তথ্য স্পষ্ট হতে পারে বিজ্ঞানীদের কাছে। সাধারণত এমন অসংখ্য গ্রহাণু সৌরজগতের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সেগুলির উপাদান সম্পর্কে মানুষ কেবল এতদিন ধারণা করতে পেরেছে মাত্র। মনে করা হচ্ছে, এই গ্রহাণুর মধ্যে থাকতে পারে অনেক মহামূল্যবান উপাদান। থাকতে পারে কাদা মাটি, জলও। একটি বাদামের মতো দেখতে এই গ্রহাণু তাই বিজ্ঞানীদের কাছে এক বিষ্ময়।

নাসার প্ল্যানেটারি সায়েন্সের বিজ্ঞানী লোরি গ্লেজ জানিয়েছেন, এই গ্রহাণু সম্পর্কে জানতে পারলে পৃথিবীর উৎপত্তি নিয়ে অনেক কথায় জানা যাবে। কী করে এই সৌরজগত তৈরি হল, সেটাও স্পষ্ট করে জানা যেতে পারে। ২০১৬ সালে অ্যাটলাস ভি রকেটের মাধ্যমে এটি মহাকাশে পাড়ি দেয়। তারপর গ্রহাণুর মাটি ছোঁয়ার আগে এটি সন্ধান চালাতে থাকে মাটিতে নামার মতো সঠিক জায়গার। দু’‌বছর ধরে সেই সন্ধান চালানোর পর এটি গ্রহাণুতে নেমে আসে।

Published by:Uddalak Bhattacharya
First published:

Tags: NASA, NASA spacecraft