হোম /খবর /বিদেশ /
আবার চন্দ্রাভিযান, নাসার সিদ্ধান্ত, এবার পুরুষের আগে চাঁদে পা রাখবে নারী

আবার চন্দ্রাভিযান, নাসার অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত, এবার পুরুষের আগে চাঁদে পা রাখবেন নারী!

Photo- Representative

Photo- Representative

  • Last Updated :
  • Share this:

#নিউইয়র্ক : নাসার আধিকারিক জেমস ব্রিডেনস্টাইন জানিয়েছেন, কোনও বড় নির্বাচনের আগে “রাজনৈতিক ঝুকি” নাসার কাজের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়৷

ভারতীয় পুরাণ এবং সংস্কৃত সাহিত্য স্পষ্ট ভাবে বলে- চাঁদ না কি রমণীদের অতীব প্রিয়! সে কথা মাথায় রেখেই কি ফের চন্দ্রাভিযানে উদ্যোগ নিল নাসা?

আসলে খবর এসেছে, ২০২৪ এ আবার কোনও নভশ্চরকে চাঁদে পাঠাবে নাসা। তবে এ বার চাঁদের বুকে প্রথম পা রাখবেন কোনও নারী। তার পর আসবে পুরুষের পালা। সম্প্রতি এই খবর আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করেছেন নাসা কর্তৃপক্ষ। এর জন্য খরচ হতে পারে ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার মধ্যে শুধু ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার-ই খরচ হবে চন্দ্রযান নির্মাণে।

খরচের এই ধাক্কা সামাল দিতে নাসা সাত তাড়াতাড়ি মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রোজেক্টে সই করার আবেদন পাঠিয়েছে। কেন না, সরকারি তরফ, মানে কংগ্রেস হাত উপুড় না করলে এই অভিযান বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে না। আর এই সম্মতি আদায় করতে হবে নভেম্বরের ৩ তারিখে কংগ্রেসের নির্বাচনের আগেই।

সম্প্রতি এই বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে আর্টেমিস মিশন বা চাঁদে আবার কোনও মানুষকে পাঠানো নিয়ে মুখ খুললেন নাসার আধিকারিক জেমস ব্রিডেনস্টাইন। তাঁর মতে কোনও বড় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক ঝুঁকি নাসার কাজের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যেমন, এর আগেই প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিলেন। অথচ, তাঁর আগে বহু রাষ্ট্রপতি এই জাতীয় নানা প্রোজেক্টে কয়েক কোটি বিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন।

তাই আশায় আছে নাসা- বড়দিনের মধ্যে যদি বাজেটের প্রথমাংশ অর্থাৎ ৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কংগ্রেস মঞ্জুর করে দেয়, তা হলে তাঁরা ২০২৪-এর মধ্যে চাঁদে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে পারবেন- ব্রিডেনস্টাইন মন্তব্য করেছেন।

তিনি আরও বলেছেন যে, নাসা এ বার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যাচ্ছে। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সালের মধ্যে অ্যাপোলো চাঁদের যে বিষুবরেখা অঞ্চলে অবতরণ করেছিল, সেই দিকে আর যাওয়া হবে না।

বিশদ খবর আরও বলছে, প্রথম পর্যায়ে আর্টেমিস ১ নভেম্বর ২০২১-এ ছাড়ার পরিকল্পনা আছে। এতে অবশ্য কোনও মানুষ থাকবে না। এই বিশালাকায় এসএলএস রকেট আপাতত পরীক্ষার স্তরে আছে। এই প্রথম একটি ওরিয়ন ক্যাপ্সুল সহ সক্রিয় হবে।

আর্টেমিস ২ নভশ্চর নিয়ে ২০২৩-এ যাত্রা শুরু করবে এবং চাঁদের চারদিকে পরিক্রমা করলেও সেখানে অবতরণ করবে না।

সব শেষে আর্টেমিস ৩ চাঁদে নামবে। এটি সব দিক থেকে ১৯৬৯ সালের অ্যাপোলো ১১-এর সমান হবে। তবে এটি দীর্ঘদিন, অন্তত পক্ষে এক সপ্তাহ চাঁদে থাকবে। এর বেশি কিছু এখনই জানাতে তৈরি নয় নাসা।

কথা হল, এ বারের চন্দ্রাভিযানে কেন চাঁদের দক্ষিণ মেরুকেই এত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে?

ব্রিডেনস্টাইনের বক্তব্য, এত দিন ধারণা ছিল যে চাঁদ একেবারে শুকিয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই তথ্য যে ভুল, তা প্রমাণিত সত্য। জানা গিয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রচুর জলের অস্তিত্ব রয়েছে। তার সুলুকসন্ধানেই এ বার উদ্যোগী হয়েছে নাসা।

Published by:Debalina Datta
First published:

Tags: NASA, US