#নয়াদিল্লি: তাঁর বিদেশ সফর নিয়ে বিস্তর সমালোচনা করে নিন্দুকরা। তবে নরেন্দ্র মোদি বোধ হয় সেসব গায়ে মাখেন না। তিনি সবসময়ই পড়শিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে। ব্যতিক্রম পাকিস্তান। নরেন্দ্র মোদির বিদেশসফর ও বিমানযাত্রা নিয়ে অবশ্য গত ১৫ মাস ধরে নিন্দুকেরা একটি শব্দও খরচ করতে পারেননি। নরন্দ্র মোদি তাঁদের সেই সুযেগ দেননি। বলা ভাল, করোনা সুযোগ দেয়নি। গত বছর বিশ্বজুড়ে করোনার উত্পাত বাড়ার পর থেকেই আর বিদেশ সফর করেননি প্রধানমন্ত্রী। ১৫ মাস পর আবার বিদেশ সফরে যাচ্ছেন তিনি। নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে সেজে উঠেছে বাংলাদেশ। ঢাকা শহরের রাস্তার উপর শুধুই শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদীর হাসিমুখের ছবি। ব্যানার, ফেস্টুনের ছড়াছড়ি। স্বাগত নরেন্দ্র মোদি বলার জন্য যেন প্রহর গুনছে বাংলাদেশ।
মোদির বাংলাদেশ যাত্রা কূটনৈতিক সফর। এমনই মনে করছে ওয়কিবহাল মহল। যদিও দুদিনের সফরে ঠাঁস কর্মসূচি। আগামীকাল বাংলাদেশের জাতীয় দিবস। শুক্রবার ঢাকায় গিয়েই জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন মোদি। শনিবার সাতক্ষীরার শ্যামনগরে যাবেন প্রধামন্ত্রী। সেখানে ঈশ্বরীপুরে যশোরেশ্বরীর মন্দিরে পুজো দেবেন তিনি। শনিবার আবার ওড়াকান্দিতে মতুয়াদের মন্দিরেও যাবেন মোদি। আর তাই তাঁর এই সফরকে বাংলায় ভোটের মুখে কৃটনৈতিক বলে মনে করছেন অনেকে। বাংলাদেশে মতুয়ারা মোদিকে সাদরে আপ্যায়ণ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। এমনটাই জানা যাচ্ছে। এখন দেখার, বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী কোনও বিশেষ বার্তা দেন কি না! অনেকেই বলছেন, সচেতনভাবেই মোদির সফরের দুদিনের মধ্যে গোটা একটি দিন মতুয়াদের জন্য নির্ধারিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মোদির এই সফর। তাই এই উপলক্ষক কেন্দ্র করে সফরের প্রথমদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে কীভাবে যোগাযোগ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও এই সফরে শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করবেন ভারতর প্রধানমন্ত্রী। দুই দেশের মধ্য ব্যবসা, বিনিয়োগ নিয়েও আলোচনা চলবে।