#কাঠমাণ্ডু:
গত বছর করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় মাউন্ট এভারেস্ট আরোহন বন্ধ ছিল। প্রায় এক বছর পর আবার পর্বতারোহীদের মাউন্ট এভারেস্টে চড়ায় অনুমতি দিল নেপাল সরকার। গত এক বছরে নেপালের পর্যটন শিল্প ধাক্কা খেয়েছে ব্যাপকভাবে। এমনকী পর্বতারোহনে অন্যদের সবরকম সহায়তা করা শেরপারাও গত এক বছর ধরে কাজ হারিয়ে বাড়িতে বসে ছিলেন। ২০২০-তে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই তাঁরা নিজেদের গ্রামে ফিরেছিলেন। এমনকী অনেকে তো আলু চাষ করে দিনযাপন করছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁরা আবার কাজে ফিরতে পারবেন। আপাতত নেপাল সরকার ৩০০ পর্বতারোহীকে এভারেস্টে চড়ার অনুমতি দিয়েছে। নেপাল সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সময় গড়ালে পর্বতারোহীর সংখ্যা বাড়ানো হবে।এভারেস্টে চড়ার ক্ষেত্রে পর্বতারোহীদের একাধিক নিয়ম মানতে হবে। মাস্ক ছাড়া পর্বতারোহন করা যাবে না। এভারেস্ট অভিযানের আগে পর্বাতারোহীকে করোনা টেস্ট করাতে হবে। গায়ে গা লাগিয়ে পর্বতারোহন বন্ধ। পর্বতারোহীরা পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি করতে পারবেন না। দূর থেকেই তাঁদের হাত জোড় করে নমস্কার করতে হবে। এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে মেডিকেল টিম থাকবে। সংক্রমিত পর্বতারোহীদের চিকিত্সার দায়িত্ব থাকবে সেই টিমের উপর। মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত মাউন্ট এভারেস্টে পর্বতারোহনের মরশুম চলে। এবার এই মরশুমে মাত্র ৩০০ জন পর্বতারোহী এভারেস্টে চড়ার অনুমতি পাবেন। তাও কোনওরকম ভিড় করার সুযোগ এবার নেই। পরস্পরের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেই চড়তে হবে পর্বতারোহীদের।
যে কোনও পর্বতারোহীকে কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর-এ নেগেটিভ রিপোর্ট অথবা টিকাকরণের সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। নেপালের পর্যটন বিভাগ তাদের দেশের পর্যটন শিল্প বাঁচানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এমনিতেই গত এক বছরে দেশের আর্থিক ক্ষতির অঙ্কটা বেশ বড়। তাই চলতি বছর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সত্ত্বেও তারা এভারেস্টে আরোহন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নেপালের তিন কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ১৫ লাখ মানুষ গত বছর করোনার জন্য কাজ হারিয়েছেন। এভারেস্ট জয় করতে আসা পর্বতারোহীদের উপর নেপালের বহু মানুষের জীবিকা নির্ভর করে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Mount Everest, Nepal