যা দেখা যাচ্ছে, সমস্যাটা শুধু তৃতীয় বিশ্বের একার নয়!
আসলে এই দেশ এবং তার অনেক মানুষেরই যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই, এ অভিযোগ কি আমরা মাঝে মাঝেই করে থাকি না? প্রচণ্ড দরকার হলেও স্রেফ অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং দুর্গন্ধের জন্য এড়িয়ে চলি না সুলভ শৌচালয়?
ব্যক্তিবিশেষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যই যে এ হেন অপরিচ্ছন্নতার জন্য দায়ী, তাও কি অস্বীকার করা যায়? গণশৌচালয়ে গিয়ে টয়লেট সিট নোংরা হয়ে রয়েছে, সেটা না তুলেই প্রস্বাব ত্যাগ করেছেন একা বা কয়েকজন- এও কি আমাদের আকছার চোখে পড়ে না?
লেখার শুরু থেকে পর পর এতগুলো প্রশ্নচিহ্নের কারণ একটাই- অনেকেরই টয়লেট এটিকেট নিয়ে সজাগ না-থাকা যে আদতে অন্যদের পক্ষে সমস্যার ব্যাপার, সেই যন্ত্রণা হাড়ে হাড়ে অনেক দিন ধরে সহ্য করে আসছিলেন ক্যাথি। সব চেয়ে মুশকিলের ব্যাপার, ছেলেদের পইপই করে বলেও তিনি তাঁদের টয়লেট এটিকেট শেখাতে পারছিলেন না। মাঝে মাঝেই তাঁর চোখে পড়ত অপরিচ্ছন্ন হয়ে থাকা টয়লেট সিট!
তাই কোন ছেলে বার বার বারণ করা সত্ত্বেও এই কাজ করছে, তা এক অভিনব উপায়ে ধরে ফেললেন ক্যাথি। কী ভাবে ধরলেন, তা ভিডিও করে TikTok-এ আপলোডও করেছেন তিনি। চিন্তা নেই, এই অ্যাপ এ দেশে নিষিদ্ধ হয়ে গেলেও ক্যাথির এই ভিডিও তুমুল জনপ্রিয়তার কারণে YouTube-এও উঠে এসেছে, অতএব ব্যাপারটা দেখতেই পাবেন সাফ সাফ! ক্যাথি একটা ২০ ইউরোর নোট, ভারতীয় মুদ্রায় আজকের হিসেব অনুযায়ী পাক্কা এক হাজার সাতশো একচল্লিশ টাকা ছয় পয়সা, সেলোটেপ দিয়ে আটকে রেখেছিলেন টয়লেট সিটের পিছনে। যাতে নোট ভিজে না যায়, সে জন্য তিনি সেটা মুড়ে দিয়েছিলেন প্লাস্টিকে। উদ্দেশ্য খুব স্পষ্ট- যে ওই টয়লেট সিট তুলবে, সে টাকাটা দেখতে পাবে! আর এমনটা হলে সে মাকে জানাবেও!
খবর বলছে যে একমাত্র ক্যাথির বড় ছেলেই না কি টয়লেট সিট তুলে উত্তেজিত হয়ে মাকে ডাকাডাকি করেছিল! ভালো যে ক্যাথির পরিকল্পনা সার্থক হল! এমন বুদ্ধির তারিফ না করে কি থাকা যায়!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: TikTok, Viral Video