#ওয়াশিংটন: স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন পশুদের নিয়ে কাজ করা কর্মীরা। রাগে ফুঁসছেন পশুপ্রেমীরা। নাসা (NASA)-র কাছ থেকে এমন ব্যবহার তাঁরা আশাও করতে পারেননি। ন্যাশনাল এরোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিসট্রেশন বা নাসা একদিনে মেরে ফেলেছে ২৭টি বাঁদর! ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, নাসার ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালির অ্যামেস রিসার্চ সেন্টারে ২৭টি বাঁদরকে ড্রাগ দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। আমেরিকাতে ফ্রিডম অব ইনফরমেশন ল' বা যে কোনও তথ্য জানার যে অধিকার আছে, তার ভিত্তিতেই এই সব তথ্য সবার সামনে এসেছে। বলা হয়েছে, বাঁদরগুলোর বয়স হয়েছিল ২১, প্রত্যেকেই পারকিনসন ডিজিজে আক্রান্ত ছিল।
কেন এ রকম কাজ করা হল? তার উত্তরে লাইফসোর্স বায়োমেডিকেল-এর তরফ থেকে স্টিফানি সোলিস বলেন, বাঁদরগুলোর বয়স আর অসুস্থ শরীরের কথা চিন্তা করে এদের পরীক্ষাগারে রেখে দেওয়া হয়েছিল। কারণ এদের রাখার মতো আর কোনও জায়গা ছিল না। নাসায় নিয়ে আসা প্রাণীদের জন্য নানা রকম পরিষেবা দেয় এই লাইফসোর্স বায়োমেডিকেল।
সোলিস এও বলেন যে তাঁদের সংস্থা দীর্ঘ দিন ধরে এই বাঁদরগুলোর দেখাশোনা ও যত্ন করে এসেছে। এদের বয়স ও রোগের কথা মাথায় রেখেই এদের মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা কোনও অমানবিক আচরণ নয় বরং আগামী দিনে এদের আরও শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা ভেবে যথেষ্ট মানবিক সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। যতদিন এই প্রাণীরা সেখানে ছিল, তাদের উপরে কোনও রকম পরীক্ষা করে দেখা হয়নি।
তবে এই ভাবে নিরিহ প্রাণীদের হত্যা করায় উত্তাল হয়েছে আমেরিকার সংসদ। সেখান থেকে চিঠি গিয়েছে নাসার প্রধানের কাছে। ইউএস হাউজ থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে নাসার কাছ থেকে। তা ছাড়াও পশুপ্রেমী ও অ্যানিম্যাল অ্যাকটিভিস্টদের বহু সংস্থাও এই নিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
ডেমোক্র্যাট লিডার ক্যাথলিন রাইস বলেছেন , তিনি ব্যক্তিগত ভাবে নাসাকে অনুরোধ করছেন যাতে একটু মানবিক ভাবে এই সব পশুপাখিদের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। গবেষণার নিমিত্তে এদের আনলেও প্রয়োজন শেষে ছেড়ে দেওয়া উচিৎ!