#গুয়াহাটি: মায়ানমার থেকে আসা শরণার্থীদের কোনও খাবার বা আশ্রয় দিয়ে কোনওরকমের সাহায্য করার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করল মণিপুর সরকার৷ প্রশাসনের পাশাপাশি বেসরকারি বা ব্যক্তিগত উদ্যোগেও কোনও রকম সাহায্য করা যাবে না বলে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে৷
একমাত্র কোনও শরণার্থীর শরীরে গুরুতর কোনও আঘাত থাকলে মানবিকতার খাতিরে চিকিৎসা পরিষেবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ চান্ডেল, তেংগনোউপাল, কামজোং, উখরুল এবং চুরাচাঁদপুর প্রশাসনকে এই নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, মায়ানমারের নাগরিকদের অনুপ্রবেশ আটকাতে সব ধরনের পদক্ষেপ করতে হবে৷
এই মুহূর্তে মায়ানমারের রাজনৈতিক পরিবেশ যথেষ্টই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে৷ ফলে প্রতিবেশী দেশ থেকে ভারতে আশ্রয় নিতে মায়ানমারের নাগরিকরা চেষ্টা করতে পারে বলে মনে করছে ভারত৷ শুক্রবারই রাজধানী ইয়াঙ্গন সহ দেশের ৯টি জায়গায় প্রতিবাদী মানুষের উপরে গুলি চালানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মায়ানমারের শাসক সেনা কর্তারা৷ যার ফলে বেশ কিছু শিশু সহ অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে৷
গত শুক্রবারই মণিপুর সরকারের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মায়ানমারের শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে জেলা প্রশাসন বা নাগরিক সমাজের তরফে যেন কোনও শিবির খোলা না হয়৷ িনর্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে যেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়৷ যে জেলাগুলিতে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে, সেখানে আধার নথিভুক্তির কাজও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে৷ যদিও মণিপুরের বীরেন সিং সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রবল সমালোচনা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ অনেকেই এই নির্দেশকে মানবতা এবং ভারতের সুনামের বিরোধী বলে সরব হয়েছেন৷
সামরিক অভুত্থ্যানের মাধ্যমে মায়ানমারের শাসনভারের দায়িত্বে থাকা আং সান সু কিকে আটক করা হয়৷ এর পর থেকেই গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে মায়ানমারে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ এবং আন্দোলন শুরু হয়েছে৷ ফলে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে দেশের পরিবেশ৷ গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে অন্তত ৪২০ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে মায়ানমারে৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।