#লন্ডন: আসল ব্যাপার তো হল গাড়িটাই! রং, মডেল, ফিচার- সব দিক থেকেই! এইগুলোই মূলত পড়শির ঈর্ষা আর মালিকের গর্বের কারণ হয়ে থাকে। নেমপ্লেটে উল্লেখ করা নম্বর, সে তো নেহাতই এক সরকারি পরিসংখ্যান! কী যায়-আসে তাতে?
অনেকেরই হয় তো কিছু যায়-আসে না, আবার অনেকের সমস্যা হয়। পছন্দসই নম্বর, যার সঙ্গে সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী সৌভাগ্যের যোগ রয়েছে, তেমন নম্বরওয়ালা নেমপ্লেট দখল করার জন্য অনেক দেশেই গাড়ির মালিকরা মোটা টাকা জমা করেন সরকারি দফতরে, বিনিময়ে হাসি মুখে ওই নম্বরওয়ালা নেমপ্লেটের গাড়ি চড়ে ঘুরে বেড়ান! মাসকয়েক আগে প্রকাশিত এক তথ্য জানিয়েছিলও যে এ ভাবে পছন্দের নম্বর নিলাম করবে এ দেশের সরকারও মোটা টাকা কোষাগারে ভরছে!
কিন্তু ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের জনৈক ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে কারণটা এত সাধারণ ভাবে দেখলে চলবে না। গাড়ির নম্বর হিসেবে O 10 তাঁর পছন্দ, হক কথা, তার সঙ্গে যোগ রয়েছে সৌভাগ্যেরও, সেটাও অস্বীকার করার বিষয় নয়! কিন্তু সব চেয়ে বেশি করে সক্রিয় থেকেছে পারিবারিক আবেগ।
সম্প্রতি motor1.com-এ প্রকাশিত এক খবর জানিয়েছে যে যিনি ১.২৮ কোটি টাকা খরচ করে এই নম্বরওয়ালা গাড়ির নেমপ্লেট কিনেছেন নিলাম থেকে, এক সময়ে এই নম্বরটি তাঁদেরই পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ছিল। সময়টা ১৯০২ সাল। বার্মিংহামে তখন গাড়ির নম্বর বিলি করছে সরকারি কর্তৃপক্ষ। সেই সময়ে ব্যবসায়ী চার্লস থম্পসন ছিলেন লাইনে ১০ নম্বরে। তাই তাঁর ভাগ্যে এসে পড়েছিল এই O 10 নম্বরওয়ালা নেমপ্লেট। এই নম্বরওয়ালা গাড়িতে করেই চার্লস গ্রেটার বার্মিংহাম এলাকায় পাইকারি হারে মুদিখানার জিনিসপত্র সরবরাহ করতেন।
১৯৫৫ সালে চার্লসের মৃত্যুতে এই নম্বরওয়ালা গাড়ির মালিক হন তাঁর সন্তান ব্যারি। তিনি এই গাড়িতে করে নিকটবর্তী অঞ্চলে কাঠ সরবরাহ করতেন। এ ভাবেই ধীরে ধীরে ওই নম্বরওয়ালা গাড়ির সূত্রে তাঁদের পসার জমে ওঠে, পরিবার হয়ে ওঠে লক্ষ্মীমন্ত।
যদিও ২০১৭ সালে ব্যারির মৃত্যুর পরে সরকারি তরফে থম্পসন পরিবারকে রিটেনশন সার্টিফিকেট ধরিয়ে দেওয়া হয়। নম্বর চলে যায় তাঁদের হাত থেকে, তা নিলামে ওঠে। কিন্তু থম্পসন পরিবারের উত্তরাধিকারী, যাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি, তিনি ঠাকুর্দা আর বাবার স্মৃতিরক্ষার্থে নিলামে সবাইকে হারিয়ে এই নম্বরটি অধিকার করে নেন। এখন দেখার, কোন গাড়িতে এই নম্বর লাগিয়ে ঘুরে বেড়ান থম্পসনদের এই প্রজন্মের সদস্য!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: England