হোম /খবর /বিদেশ /
জীবনসঙ্গীর মৃত্যুর ৬ মাস পর স্বামীর প্রিয়তম বন্ধুকে বিয়ে করলেন ৫৪ বছর বয়সি মহিলা

Remarriage: জীবনসঙ্গীর মৃত্যুর ৬ মাস পর স্বামীর প্রিয়তম বন্ধুকে বিয়ে করলেন ৫৪ বছর বয়সি মহিলা

স্বামীকে হারানোর ৬ মাসের মধ্যে তিনি বিয়ে করলেন স্বামীর ঘনিষ্ঠতম বন্ধুকে

স্বামীকে হারানোর ৬ মাসের মধ্যে তিনি বিয়ে করলেন স্বামীর ঘনিষ্ঠতম বন্ধুকে

Remarriage: মনের ভার উজাড় করে দেওয়ার জন্য তিনি খুঁজে নেন কিথের প্রিয়তম বন্ধু স্টিফেনকে

  • Share this:

লন্ডন :  স্বামীকে হারিয়ে স্ত্রীর জীবন বিধ্বস্ত হয়ে যায় অনেক ক্ষেত্রেই। আবার অনেক সময়েই শূন্য থেকে শুরু করেন তাঁরা। জীবনে একাই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কেউ কেউ। কেউ আবার অন্য কারওর হাত ধরেন। লন্ডনের এক মহিলা পড়েলন দ্বিতীয় দলে। স্বামীকে হারানোর ৬ মাসের মধ্যে তিনি বিয়ে করলেন স্বামীর ঘনিষ্ঠতম বন্ধুকে। অনেক দিন ধরেই তাঁকে চিনতেন। এ বার তাঁকেই বরণ করে নিলেন নতুন জীবনসঙ্গী রূপে।

ওই মহিলা, ৫৪ বছর বয়সি জো ম্যাথিউ থাকেন লন্ডনের পশ্চিম শহরতলি রিডিং-এ। ২০০৪ সালে তিনি বিয়ে করেন কিথকে। বিয়েতে বেস্ট ম্যান ছিলেন কিথের সেরা বন্ধু স্টিফেন। দাম্পত্যের ১২ বছর পর আচমকাই কালো মেঘ আকাশে। কিথের শরীরে ক্যানসার বাসা বেঁধেছে বলে ধরা পড়ে। চার বছর লড়াই করার পর ২০২০ সালে তিনি প্রয়াত হন ৫৫ বছর বয়সে। জীবনসঙ্গীকে হারিয়ে নিঃসঙ্গ ও বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন জো। মনের ভার উজাড় করে দেওয়ার জন্য তিনি খুঁজে নেন কিথের প্রিয়তম বন্ধু স্টিফেনকে।

স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে জো বলেছেন ১৯৯৯ সালে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে। তখন তাঁর বয়স ৩০ বছর। কিথ ছিলেন ৩৫ বছর বয়সি। পেশায় ডিজে কিথের অবাধ গতি ছিল জ্যাজ থেকে ডিস্কোতে। সঙ্গীত তাঁদের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করে তোলে। বিগত সম্পর্ক থেকে জো-এর চার সন্তানকেও ভালবেসে পিতৃত্বের ছায়া দেন কিথ। ২০১২ সালে সন্তান হয় তাঁদের মেয়ে পপির। প্রথমবার দাদু দিদা হয়ে অনাবিল আনন্দে ভেসে যান এই দম্পতি।

আরও পড়ুন :  বাগদানের পরও প‍‍ঞ্চম বিয়ে করছেন না ৯২ বছর বয়সি রুপার্ট মার্ডক? বিয়ে বাতিলের কারণ নিয়ে চলছে জল্পনা

কিন্তু তাঁদের সংসারের ছন্দ কেটে যায় ২০১৬ সালে। যখন ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোমের শুশ্রূষা করাতে গিয়ে জানা যায় বাওয়েল ক্যানসারে আক্রান্ত কিথ। চতুর্থ স্তরে পৌঁছে যাওয়া রোগ ছড়িয়ে পড়েছিল ফুসফুস পর্যন্ত। ডাক্তার বলেছিলেন তাঁর বেঁচে থাকার মেয়াদ ২ থেকে ৫ বছর। কিন্তু শুশ্রূষা শুরুর চার বছরের মাথায় হার মানে সব চেষ্টা। স্ত্রী, সন্তান, নাতিনাতনিতে ভরা সংসার ফেলে চলে যান কিথ।

 

এর পরই স্টিফেনের ঘনিষ্ঠ হন জো। জানিয়েছেন তার আগে স্টিফেনের প্রতি তাঁর কোনও বিশেষ অনুভূতি ছিল না। কিন্তু স্বামীকে হারানোর পর ধূসর সময় তিনি পাশে পেয়েছেন স্টিফেনকে। জীবনের পাঁচ দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে তাঁরা একসঙ্গে থাকার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন। জো-এর উপলব্ধি, কিথের স্মৃতিচারণা করার জন্য তাঁর কাছে স্টিফেনের থেকে ভাল সঙ্গী আর কেউ হতে পারেন না।

Published by:Arpita Roy Chowdhury
First published:

Tags: Marriage, Relationship