বসুন্ধরা যে ধন, ধান্য আর পুষ্পে ভরা, সে বিষয়ে সন্দেহ কী! এই সমৃদ্ধি, বিশেষ করে অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য যদি মানুষের পরিবারে আসে, তবে তারা আনন্দিত হয় বই কি! কিন্তু সম্প্রতি জার্মানির (Germany) এক সমীক্ষা সাফ বলছে যে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা থাকুক আর না-ই থাকুক, পাখির ডাক শুনে না কি মানুষের মনে যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়, তা একেবারে বেতন বাড়ার আনন্দের মতোই!
খবর বলছে যে সম্প্রতি ইয়োরোপের ২৬ হাজার বাসিন্দাকে নিয়ে এ হেন এক সমীক্ষা পরিচালনা করেছিলেন জার্মানির গবেষকরা। এই গবেষণাদলের নেতৃত্বে ছিলেন সেনকেনবার্গ বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড ক্লাইমেট রিসার্চ সেন্টারের ইকোলজিস্ট জোয়েল মেথর্স্ট। এই জায়গায় এসে জানিয়ে রাখা ভালো, সমীক্ষার মুখ্য উদ্দেশ্য কিন্তু পাখির ডাক শোনা আর মাইনে বেড়ে যাওয়ার পারস্পরিক সম্পর্কের অনুপাত নিয়ে ছিল না। সবুজে ঘেরা মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে যাঁরা বাস করেন, তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য (Mental Health) শহুরে নাগরিকদের তুলনায় কী রকম, সেটা দেখাই ছিল এই সমীক্ষার আসল কাজ!
সেই লক্ষ্যেই পাখির ডাকে ঘুমিয়ে পড়েন আর পাখির ডাকে জেগে ওঠেন, এমন বহু মানুষের সংস্পর্শে এসেছেন জার্মানির এই গবেষকরা। এই সকল পরিবার যে অঞ্চলে বাস করেন সেখানে সবুজের সমারোহ চোখে পড়ার মতোই; সঙ্গে বাড়তি পাওনা বড়সড় জলাশয়ও। সব মিলিয়ে এই পরিবারগুলোর বসতি এলাকায় পাখির আনাগোনা বেশ ভালো রকমই হয়ে থাকে। সেই জায়গা থেকেই সমীক্ষা খুঁজে পেয়েছে হইচই ফেলে দেওয়ার মতো তথ্য- বছরে মাইনে বাড়ার আনন্দ যেমনটা হয়, তেমনটাই এই পরিবারের সদস্যেরা পেয়ে থাকেন পাখির ডাক শুনে- দুই ক্ষেত্রেই হরমোনের প্রতিক্রিয়া একই রকমের!
তবে, না বললেই নয়, এই সিদ্ধান্ত কেবল ইয়োরোপের (Europe) ক্ষেত্রেই খাটবে। কেন না, যে পরিবারগুলোকে নিয়ে এই সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছে, তাদের বছরে উপার্জন ১৩ হাজার ৩৮০ ইউরো। মানে, ভারতীয় মুদ্রায় ১১ লক্ষ ৮৭ হাজার ২৪৫ টাকা ২৮ পয়সা! এ হেন উপার্জন একটা ভারতীয় পরিবারের পক্ষে মুখের কথা নয়! তাই প্রশ্ন থেকেই যায়- এ দেশের বহু নাগরিকও সবুজের সমারোহে পাখির (Birds) ডাক নিত্য শোনেন, কিন্তু অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা তাঁদের মনে কি একই রকম আনন্দ এনে দিতে পারে?
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Salary