হোম /খবর /বিদেশ /
২০১৫-তেই হতে পারত 'জৈব অস্ত্র' করোনার হানা! চিনের ফাঁস নথিতে ফের শোরগোল

Corona in China: ২০১৫-তেই হতে পারত 'জৈব অস্ত্র' করোনার হানা! চিনের ফাঁস নথিতে ফের শোরগোল

ফের কাঠগড়ায় চিন

ফের কাঠগড়ায় চিন

চিনের সামরিক বিজ্ঞানীরা ২০১৫ সালেই করোনাকে জৈব অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার বিষয়ে আলোচনা করছিলেন। চিনা ভাষায় লেখা ওই নথি লি-মেং ইংরেজিতে অনুবাদ করে টুইট করেছেন।

  • Last Updated :
  • Share this:

চিন: সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস (Coronavirus) ছড়িয়ে পড়ার নেপথ্যে চিনের (China) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হাত রয়েছে, এমন অভিযোগ উঠেছে বাকি বিশ্বের অধিকাংশ দেশের পক্ষ থেকেই। কিন্তু এখনও হাতেগরম প্রমাণ কেউ সামনে আনেনি। তবে এবার ‘সার্স করোনাভাইরাস’ নিয়ে চিনের অনেক গোপন পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে গেল। চিনা ভাষায় লেখা বেশ কিছু 'গুরুত্বপূর্ণ' নথি ফাঁস করে দিয়েছেন লি-মেং ইয়ান নামের এক চিনা ভাইরোলজিস্ট। আর সেই নথিতে দাবি করা হচ্ছে, চিনের সামরিক বিজ্ঞানীরা ২০১৫ সালেই করোনাকে জৈব অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। চিনা ভাষায় লেখা ওই নথি লি-মেং ইংরেজিতে অনুবাদ করে টুইট করেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে করোনার ঢেউ বিশ্বজুড়ে আছড়ে পড়ার পর, আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) প্রথম করোনাকে 'চাইনিজ ভাইরাস' (Chinese Virus) বলে উল্লেখ করেছিলেন। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে আন্তর্জাতিক মহলে অনুযোগ করে চিন বলেছিল, এত মানুষের মৃত্যু হয়েছে যে দেশে সেই চিনকে করোনার জন্য দোষী করা নিরর্থক। গোটা বিশ্বের একটা বড় অংশই প্রশ্ন তোলে, করোনাভাইরাস কি আদৌ পশুর দেহ থেকে ছড়িয়ে পড়া কোনও ভাইরাস? নাকি চিনের উহানের কোন ল্যাবরোটরিতে তৈরি করেই তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গোটা বিশ্বে? আমেরিকার সুরেই সুর মিলিয়েছিল বিশ্বের বহু দেশ।

সেই দাবির বেশ কিছুদিন পর ফের বিশ্বের কাঠগড়ায় চিন। ট্যুইটে লি-মেং ইয়ান লিখেছেন, 'সার্স-কভ-২ ভাইরাসটি চিনের সরকারি গবেষণাগারে তৈরি করা হয়েছে এবং চিনের সামরিক বিভাগের বিজ্ঞানীরা সার্স করোনাভাইরাসকে জৈব হাতিয়ার রূপে ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা করছেন।' শুধু তাই নয়, নথিতে উল্লেখ রয়েছে, করোনাকে জৈব অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেই দিয়েই নাকি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের লড়াই হবে।

এই নথি প্রকাশ্যে এলেও এখনও চিনের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। যদিও করোনাকে ল্যাবে তৈরি কোনও ভাইরাস বলে কখনও স্বীকার করেনি চিন। অনেক বিশেষজ্ঞই অবশ্য এখনও এই ভাইরাসের পিছনে চিনের উহানের পশু মার্কেটের সংক্রমণের দিকেই আঙুল তোলেন। যদিও অনেক বিশেষজ্ঞই আবার বছর তিনের আগের চিনের সংবাদপত্র পিপলস ডেলি চায়নার একটি প্রতিবেদন তুলে ধরে বলেন, ‘চিনের ভাইরোলজি ইন্সটিটিউট ইবোলার চেয়ে ভয়ংকর এক জীবাণু নিয়ে গবেষণা করছে। ৩০ মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছিল এর জন্য। বণ্যপ্রাণী বাজার থেকে মাত্র দশ মাইল দূরে তৈরি করা হয়েছিল।' সেই সন্দেহ এখনও যায়নি অনেকের মন থেকেই। এরই মধ্যে চিনের ভাইরোলজিস্টের ট্যুইট নতুন করে আলোড়ন ফেলল।

Published by:Suman Biswas
First published: