#রোম: করোনায় কী না হয়। তাই বলে এমনও হয়। লকডাউনে, রোমিও-জুলিয়েটের শহরে, নতুন রোমিও-জুলিয়েটের জন্ম।
লকডাউনে ঘরবন্দি জীবন। দখিনা হাওয়া ছিল বারান্দা। মুখোমুখি বারান্দা। বারান্দায় রোদ্দুর। বারান্দায় দাঁড়িয়ে প্রথম দেখা। প্রথম দেখাতেই প্রেম। তারপর, সংসার পাতার শপথ। এনগেজমেন্ট।
এ যেন গল্প হলেও সত্যি। যা দেখেছে ইতালির ভেরোনা। শেক্সপিয়রের রোমিও জুলিয়েটের শহর ভেরোনা। সেই শহরেই নতুন রোমিও-জুলিয়েট। রোমিও - ৩৮ বছরের মাইকেল ডি আলপাওস। জুলিয়েট - পাওলা অ্যাগনেলি। দু'জনে একই কমপ্লেক্সে। মুখোমুখি ফ্ল্যাট। কিন্তু সেভাবে দেখাই হয়নি। লকডাউন সব তোলপাড় করে দিল।
বারান্দায় সে দিন রোদ্দুরের জন্মদিন। চোখ পড়ল চোখে। মন বলল, ভ্রু পল্লবে ডাক দিলে দেখা হবে চন্দনের বনে। তবে, ওদের দেখা হত ওই ব্যালকনি থেকেই। ধীরে ধীরে চ্যাট। কিন্তু, কোথাও যাওয়ার তো উপায় নেই। শেষমেশ উপায় হল। ইতালিতে লকডাউন ওঠার পরে দু'জনের দেখা। কথা। আরও অনেক কথা। দু'জনে সারাজীবন কথা বলবে বলে কথা দিয়েছে। এবার কথা হবে এক ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে।