মহাকাশের হাজার হাজার নক্ষত্র রোজ হারিয়ে যাচ্ছে, মরে যাচ্ছে। তবে তারাদের মরে যাওয়া তো রোজ দেখা যায় না। সেই সাড়া জাগানো ঘটনাটিও কিন্তু এ বার এল প্রকাশ্যে। নক্ষত্রের জ্বলে ওঠা এবং মহাশূন্যে বিলীন হয়ে যাওয়ার ঘটনা ধরা পড়ল নাসার হাবল টেলিস্কোপে। আর সেই মহাজাগতিক ঘটনার ভিডিও নাসা নিজেদের ওয়েবসাইটে শেয়ার করতেই ভাইরাল হয়েছে তা।
মাত্র ৩০ সেকেন্ডের ভিডিওটি। কিন্তু প্রকাশিত হতে না হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। জানা যায়, পৃথিবী থেকে ৭ কোটি আলোকবর্ষ দূরের একটি ছায়াপথের মধ্যে অবস্থিত এই তারাটি।
মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসার হাবল টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে টাইম-ল্যাপ্স এর ঘটনা। তবে এক দিনে নয়, এক বছর ধরে নিয়মিত বিরতিতে ধরা পড়া একের পর এক ছবি জুড়ে দিয়ে কয়েক সেকেন্ড দেখানো হয়েছে তাতে। নাসার তরফে জানানো হয়েছে ভিডিওটি জুম করে তোলা হয়েছে। পৃথিবী থেকে ৭ কোটি আলোকবর্ষ দূরে থাকা একটি স্পাইরাল গ্যালাক্সিতে রয়েছে নক্ষত্রটি। ছায়াপথের নাম এনজিসি ২৫২৫। ১৭৯১ সালে এই ছায়াপথ ‘স্পাইরাল নেবুলা’ আবিষ্কার করেন ব্রিটিশ মহাকাশবিদ উইলিয়াম হার্সেল।
https://youtu.be/GQ13j55P3sEনক্ষত্রের মৃত্যুর কয়েক মুহূর্ত আগে বিশাল এক বিস্ফোরণ হয়। এই বিস্ফোরণকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় সুপারনোভা। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে জ্যোতির্বিদ কইচি ইতাগাকি প্রথম ‘এসএন ২০১৮জিভি’ সুপারনোভাটি শনাক্ত করেন। ফেব্রুয়ারিতে সেটিতে চোখ রাখা শুরু করে হাবল টেলিস্কোপ। টাইম-ল্যাপ্সের শুরুতে ‘এনজিসি ২৫২৫’ ছায়াপথের বাইরের দিকে আলোকচ্ছটার মতো দেখায় সুপারনোভাটি। তবে খানিক পরই ছায়াপথের সব চেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রের চেয়েও বেশি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে তা। ঠিক পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণের মতো। ক্ষণিকের জন্য যে পরিমাণ শক্তি নক্ষত্রটি থেকে ছড়িয়ে পড়ে, তা ৫০০ কোটি সূর্যের তেজষ্ক্রিয়তার সমান। রসায়ন বিদ্যার নিয়ম মেনেই বিকিরণ খুব বেশি হতে থাকলে তার পক্ষে বেশিক্ষণ দৃশ্যমান হওয়া সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রেও তাই-ই হয়েছে। ধীরে ধীরে আলো হারিয়ে ফেলেছে সে নক্ষত্র। মহাশূন্য থেকে মুছে গিয়েছে তার চিহ্ন। নক্ষত্রের নিষ্প্রভ হয়ে যাওয়ার মুহূর্তটি ধরা পড়েছে ভিডিওতে। সবাই তো দেখে ফেললেন, আপনি দেখবেন না?
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।