জেনোয়ায় ওই কবরস্থানের পাশে কয়েক দিন ধরেই নির্মাণকাজ চলছিল। হঠাৎই কাজ চলাকালীন ভূমিতে ফাটল চোখে পড়ে শ্রমিকদের। তার পরই ধস নামে এলাকায়। প্রায় ১০০ বছর পুরনো ওই কবরস্থানের একাংশ সমুদ্রের তলায় চলে যায়। যাতে প্রায় ২০০টি কফিন ছিল বলে জানা যাচ্ছে।
স্থানীয় রিপোর্ট বলছে, ওই ২০০টি কফিনের মধ্যে মাত্র ১০টি উদ্ধার করা গিয়েছে। বাকি কবে উদ্ধার করা যাবে, তা জানা নেই। তবে, এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিক গিয়াকোমো গিয়ামপেড্রন জানিয়েছেন, সমুদ্রের পরিস্থিতি আগামী দিনে কেমন থাকে, তার উপরে নির্ভর করছে বাকি কফিনগুলি উদ্ধার করা যাবে না কি!
আরও পড়ুন মেয়ের জন্য পুতুল কিনেছিলেন দম্পতি, ভিতর থেকে যা বেরোল! তাতে চোখ কপালে উঠেছে!
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সমুদ্রের ধারে এই কবরস্থানটি থাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। কামোগ্লির মেয়র ফ্রান্সেসকো অলিভারি জানিয়েছেন, আমরা ওই এলাকায় পাথুড়ে জায়গাটিতে কাজ করছিলাম। ওই এলাকার কাছেই কবরস্থানটি ছিল। যেটার একাংশ ভেঙে পড়েছে। তিনি আরও জানান, আরও কিছু ফাটল দেখা গিয়েছে ওই এলাকায়। যার মধ্যে কিছু ফাটল কবরস্থানেও রয়েছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কবরস্থানটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। বর্তমানে ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করছে ভূতাত্ত্বিকদের একটি টিম। ওই এলাকায় আরও কোনও ধস নামতে পারে কি না বা অন্য কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে কি না সে বিষয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, ওই এলাকায় কাজের ক্ষেত্রেও আপাতত সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
তবে, মেয়র জানিয়েছেন, যে ধরনের ঘটনা এটা ছিল, তাতে পরবর্তীকালে ওই এলাকায় আর এমন ধস নামবে কি না তা আগে থেকে বলা মুশকিল। তবে, কফিন উদ্ধার করতে কাজ চালাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সোমবার রাত থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবারও সেই কাজ চলেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ১০০ বছরের পুরনো ওই কবরস্থানে বহু খ্যাতনামা মানুষেরও কফিন রয়েছে। এর আগে এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি। তাই ওই এলাকায় চলা কাজকেই দুষছেন তাঁরা। তাঁদের একাংশের আবার দাবি, এত পুরনো ঐতিহ্যবাহী কবরস্থান বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ নয়। বদলে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে, কাজ বন্ধ করলে এই ঘটনা আর ঘটে না!