#বেজিং: আধুনিক যুগে পৃথিবীর বুকে যুদ্ধের থেকেও বেশি শক্তিশালী এবং ভয়ানক জিনিস হল প্রযুক্তি। মানুষের স্বার্থে এবং ক্ষতি সাধনে যা সমানভাবে ব্যবহার করা যায়। প্রযুক্তি উন্নত হওয়া মানে যে কোনও ব্যাপারেই অতিরিক্ত সুবিধা। একটা সময় প্রযুক্তিগত দিক থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত রাষ্ট্র ছিল আমেরিকা। এখনও সেই তকমা মার্কিনিদের দখলেই আছে। কিন্তু কতদিন থাকবে বলা মুশকিল! এমনিতেই করোনা ভাইরাসের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা খারাপ। প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিজের মুখে জানিয়েছেন দুটি বিশ্বযুদ্ধ এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধ মিলিয়ে যত মৃত্যু হয়নি, করোনায় তার চেয়ে বেশি মৃত্যু দেখে ফেলেছে আমেরিকা।
সম্প্রতি এমন একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে যা আমেরিকার রাতের ঘুম উড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। গুগলের প্রাক্তন সিইও এরিক স্মিডট জানিয়েছেন প্রযুক্তির যুদ্ধে গত কয়েক বছরে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে চিন। আমেরিকা পাঁচ বা দশ বছর নয়, চিনের তুলনায় প্রযুক্তির দিক থেকে মাত্র এক কিংবা দুই বছর এগিয়ে। আমেরিকা পিছিয়ে গিয়েছে এমন নয়, চিন দ্রুত উন্নতি করেছে। এভাবে চলতে থাকলে দ্রুত আমেরিকাকে সরিয়ে শীর্ষস্থান দখল করে নেবে চিন বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
এরিক মার্কিন সরকারের কাছে ব্যাপারটা গুরুত্ব দিয়ে বিচার করার জন্য আবেদন করেছেন। সেক্ষেত্রে আমেরিকাকে শুধু আর্থিক দিক থেকেই নয়, জাতীয় নিরাপত্তা এবং গণতান্ত্রিক দিক থেকেও ভুগতে হতে পারে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। ড্রাগনের দাদাগিরি রুখতে শুধুমাত্র বন্দুক,কামান কিংবা আধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান যথেষ্ট নয়। নিজের রিপোর্টে প্রাক্তন সিইও ব্যাখ্যা করেছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স তৈরির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে ইতিমধ্যেই পেছনে ফেলে দিয়েছে চিন।
ফেস রিকগনিশন আপাতত মোবাইল ফোনে ব্যবহার করা গেলেও চিন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা বিভ্রাটে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে। চায়না স্ট্র্যাটেজি গ্রুপ নামের এই গ্রুপটি এক প্রতিবেদনে বেশ কিছু জরুরি নীতি সমাধানের প্রস্তাব করেছে যা চিনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাজে লাগবে। অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে এই পথ অবলম্বন করতে হবে আমেরিকা,জাপান, ইউরোপ, ভারত সহ পৃথিবীর গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চলা দেশগুলোকে। না হলে ড্রাগনের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।