হোম /খবর /বিদেশ /
করোনাকে জয় করে নজির ইউরোপের প্রবীণতম ১১৭-র সন্ন্যাসিনীর!

করোনাকে জয় করে নজির ইউরোপের প্রবীণতম ১১৭-র সন্ন্যাসিনীর!

সিস্টার অ্যান্দ্রে

সিস্টার অ্যান্দ্রে

আজ অ্যান্দ্রের ১১৭-তম জন্মদিন। তার আগেই অবশ্য করোনাকে জয় করে ফেলেছেন তিনি। যদিও হোমে তাঁর সঙ্গে কাউকেই দেখা করতে দেওয়া হবে না বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভিডিও মেসেজের মাধ্যমে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।

  • Last Updated :
  • Share this:

#ফ্রান্স: ১১৭-তম জন্মদিনের কয়েকদিন আগেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট সামনে এসেছিল। যদিও তাতেও হার মানার পাত্রী তিনি নন। বিশ্বজুড়ে মারাত্মক প্রাণঘাতী এই ভাইরাসকে জয় করেছেন ইউরোপের সবচেয়ে প্রবীণতম এই সন্ন্যাসিনী। ১৯০৪ সালে জন্মেছিলেন সিস্টার অ্যান্দ্রে। গত ১৬ জানুয়ারি তাঁর কোভিড ১৯-এর পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। দক্ষিণ ফ্রান্সের টোলুনের সেন্ট ক্যাথরিন লেবার নার্সিং হোমের মুখপাত্র ডেভিজ তাভেলা অন্তত এমনটাই ঘোষণা করেছেন। এই অঞ্চলেই থাকেন সিস্টার অ্যান্দ্রে।

আজ অ্যান্দ্রের ১১৭-তম জন্মদিন। তার আগেই অবশ্য করোনাকে জয় করে ফেলেছেন তিনি। যদিও হোমে তাঁর সঙ্গে কাউকেই দেখা করতে দেওয়া হবে না বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভিডিও মেসেজের মাধ্যমে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। তাভেলা জানিয়েছেন, ভিডিও মাসেও অংশগ্রহণ করবেন সিস্টার। তাঁর দাবি, 'সিস্টারকে খুশি করার জন্য আমরা সবই চেষ্টা করছি।'

জন্মদিনের মেনুও আলাদা করে ঠিক করা হয়েছে সিস্টার অ্যান্দ্রের জন্য। থাকবে তাঁর প্রিয় খাবার ফোই গ্রাস, বেকড আলাস্কা এবং এক গ্লাস রেড ওয়াইন। প্রতিদিন দুপুরে লাঞ্চে এক গ্লাস রেড ওয়াইন পান করেন সিস্টার। এটা তাঁর বহু পুরনো অভ্যেস। হোমের অন্যরাও বার্থডে সেলিব্রেশনে অংশ নেবেন নিজের নিজের মতো করে। তবে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মাথায় রাখা হবে।

সিস্টার অ্যান্দ্রে একজন গভর্নেস এবং শিক্ষিকা হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। ১৯৪৪ সালে একজন সন্ন্যাসিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে টুলনের এই নার্সিং হোমে চলে আসেন তিনি। ১৯১৮-র স্প্যানিশ ফ্লু অতিমারীও নিজে চোখে দেখেছেন সিস্টার। সাক্ষী দুটি বিশ্বযুদ্ধের। এ বারের করোনাও তাঁকে কাবু করতে পারেনি। তিনি বলেছেন, 'এ সব আসবে যাবে, আমি জানি না এত কিছু'। বিশ্বে এই মুহূর্তে দ্বিতীয় প্রবীণ ব্যক্তি এই সিস্টার অ্যান্দ্রে। জাপানের কেন তানাকা রয়েছেন তালিকায় শীর্ষে। তাঁর বয়স ১১৭। তিনি ১৯০৩ সালের ২ জানুয়ারি জন্মেছিলেন।

Published by:Raima Chakraborty
First published:

Tags: Coronavirus