#লন্ডন: বার বার দেখলেও বিস্ময় কাটতে চায় না! পৃথিবীর পশ্চিম গোলার্ধের দেশগুলোয় দেবদূতের চেহারা যেমন কল্পনা করা হয়েছে প্রাচীন কাল থেকে, বড়দিনের আগে দেবদূতের যে অতি পরিচিত মূর্তি গির্জায়, ঘরে শোভা পায়, তা-ই এ বার ফুটে উঠল মঙ্গল গ্রহের মাটিতেও!
পৃথিবীর পশ্চিমি গোলার্ধের দেশগুলোয় দেবদূতের মূর্তি কল্পনা করা হয়েছে সাদা আলখাল্লা শোভিত হয়ে। তাঁর শরীরের দুই দিকে থাকে বিশাল দুই সাদা ডানা। আর মাথার উপরে থাকে স্বর্গীয় নীল আলোকবৃত্ত। ইয়োরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (European Space Agency) সম্প্রতি এমনই এক শারীরিক অবয়ব আবিষ্কার করল মঙ্গল গ্রহের মাটিতে। এই সংস্থা মার্স এক্সপ্রেস নামের যে মহাকাশযান পাঠিয়েছিল মঙ্গল গ্রহের দক্ষিণ গোলার্ধে, তাতে যুক্ত ছিল হাই-রেজোলিউশন স্টিরিও ক্যামেরা। সেই ক্যামেরাতেই উঠে এসেছে এই ছবি!
কথা হল, মঙ্গলে জীবনের অস্তিত্ব আছে কি নেই- এ নিয়ে তো এখনও গবেষণা চলছে! ফলে পৃথিবীতে যেমন করে শিশুরা বরফের উপরে দেবদূতের ছবি এঁকে থাকে, তেমন করেই মঙ্গল গ্রহের কোনও শিশু এই ছবি এঁকেছে, সেই দাবি করা যায় না। তবে প্রাণের অস্তিত্ব থাক বা না থাক, প্রকৃতির অস্তিত্ব তো আছেই মঙ্গল গ্রহে। তাই ইয়োরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির বিজ্ঞানীরা এই ছবি ফুটে ওঠার নেপথ্যে প্রকৃতির ক্রিয়া-বিক্রিয়াকেই দায়ী করেছেন।
বিজ্ঞানীরা তাই জানাচ্ছেন যে দেবদূতের মাথা বলে যা মনে হচ্ছে, সেটা আসলে মঙ্গলের মাটিতে তৈরি হওয়া এক গর্ত। আর শরীরটা তৈরি হয়েছে ওই গ্রহের ধুলোর দাগে। অন্য দিকে, দেবদূতের শরীরের কালচে রং নিয়ে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। মঙ্গলকে বলাই হয়ে থাকে লাল গ্রহ, এই গ্রহের ধুলোও লাল রঙের। সে দিক থেকে দেখলে এই রূপরেখা তো রঙিন হবেই!
পাশাপাশি, আরও একটা কথা না বললেই নয়। বিজ্ঞানীরা কিন্তু যে ছবিটা মার্স এক্সপ্রেসের হাই-রেজেোলিউশন স্টিরিও ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল, হুবহু সেটা আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেননি। তাঁরা ওই ছবিটার রঙের ঘনত্ব একটু বাড়িয়ে দিয়েছেন। উদ্দেশ্য একটাই- যাতে আবছা ছবিটিতে দেবদূতের শরীরের রূপরেখা একটু স্পষ্ট হয়ে ওঠে আমাদের চোখে! হাজার হোক, তাঁরা মঙ্গলের মাটি দেখে অভ্যস্ত, আমরা তো আর নই!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।