#থাইল্যান্ড: এরকম গল্প সিনেমায় দেখা যায়, বইতেও ঢের উদাহরণ আছে। কিন্তু বাস্তবেও যে এমনটা হয়, সেটা কল্পনা করা সত্যি খুব কঠিন। অথচ এমনটাই হয়েছে। যা দেখে তাজ্জব বনে গিয়েছেন অনেকেই। থাইল্যান্ডের একটি হাতির চিকিৎসা করেছিলেন পশু চিকিৎসক ডক্টর পাট্টারপোল মানিওন। অনেকেই জানেন যে হাতির স্মৃতিশক্তি অত্যন্ত প্রখর। কিন্তু তাই বলে এতটা প্রখর, সেটা অবিশ্বাস্য। কারণ এই জংলি হাতিটির চিকিৎসা ডক্টর মানিওন করেছিলেন প্রায় বারো বছর আগে। এত দিন পরেও বছর একত্রিশের এই হাতি চিনতে পেরেছে তাঁর ডাক্তারকে। তাঁকে দেখেই শুঁড় তুলে অন্য রকম আওয়াজ করতে থাকে সে। আর এটা যে একটা বিরল ঘটনা, সেটা মেনে নিচ্ছেন সবাই।
প্লাই থাং নামক এই হাতিটির অদ্ভুত আচরণ ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। ডক্টর মানিওনকে দেখে সে যে চিনতে পেরেছে এবং অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছে সেটা বেশ স্পষ্ট এই ভিডিও দেখে। ডক্টর মানিওনও যথেষ্ট আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এই ঘটনায়। তিনি বলেন প্লাই থাং যে খুশি হয়েছে সেটা এই হাতির অন্য রকমের ডাক শুনেই বুঝতে পেরেছেন তিনি। এই ঘটনা ঘটেছে যখন ডক্টর মানিওন জঙ্গলে পশুদের দেখার জন্য নিজের ডিউটি করছিলেন। এই ঘটনায় প্রথমে বিস্মিত এবং পরে অভিভূত ডক্টর মানিওন জানান যে এই রকম বিরল ঘটনা অনুপ্রাণিত করবে সেই সব মানুষদের যাঁরা পশুদের নিয়ে কাজ করেন। আরও বেশি করে মানুষকে পশুদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে উদুব্ধ করবে বলেও বিশ্বাস রাখেন তিনি।
ডক্টর মানিওন স্মৃতিচারণা করে বলেন যে তিনি যখন এই হাতিটির চিকিৎসা করেছিলেন, তখন সে প্রায় মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছিল। হাতিটি অস্থির হয়ে উঠেছিল এবং শারীরিক ভাবে খুব দুর্বল ছিল। প্লাই থাং সুস্থ হতে অনেক বেশি সময় নিলেও ধীরে ধীরে সামলে ওঠে। চিকিৎসার জন্য এই হাতিকে লাম্পাং-এ নিয়ে আসা হয়েছিল। ২০০৯ সালে যখন প্লাই থাং-এর সঙ্গে ডক্টর মানিওনের সাক্ষাৎ হয়, তখন হাতিটি জ্বরে কাবু ছিল। তার সঙ্গে ছিল পেটের অসুখ, অরুচি এবং অন্যান্য সমস্যা। সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর হাতিটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।