#ওয়াশিংটন: ভোট বড় বালাই ! শূন্যের নীচে তাপমাত্রা। তার ওপর টানা বৃষ্টি। হাড় হিম করা ঠান্ডা,সঙ্গে প্রচন্ড হাওয়া। সব মিলিয়ে ওয়াশিংটনের অবস্থা শোচনীয়। কিন্তু এই কনকনে ঠান্ডার মধ্যেও ভোট বাজারের গনগনে উত্তাপে কমতি নেই। আমেরিকান সেনেটের ফলাফল এখনও জানা যায়নি। সূত্রের খবর জর্জিয়ায় ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানদের জোর লড়াই চলছে। তার মধ্যেই বিদায়ী রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে ওয়াশিংটনের রাস্তায় নামলেন কয়েক হাজার সমর্থক। কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনের মাধ্যম দিয়ে ইলেক্টোরাল কলেজে জো বাইডেনের জয় সরকারিভাবে নিশ্চিত করা হবে। ঠিক তার আগেই ট্রাম্প সমর্থকদের দখলে চলে গেল ওয়াশিংটনের রাস্তা। বিখ্যাত ফ্রিডম প্লাজার সামনে জড়ো হওয়া সর্মথকরা গলা ফাটাচ্ছেন বিদায়ী রাস্ট্রপতির হয়ে। ভোটে কারচুপি হয়েছে, ট্রাম্পের এই অভিযোগ সুপ্রিম কোর্ট উড়িয়ে দিলেও সর্মথকরা সত্য মনে করেন।
অধিকাংশ সমর্থকের মত তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না কীভাবে ট্রাম্পের আইনি দলের তুলে ধরা যুক্তি খারিজ হয়ে গেল আদালতে। এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র দেখছেন অনেকে। ট্রাম্প টুইটের মাধ্যমে বার্তা দিয়েছেন তিনি সাহস পাচ্ছেন এই সমর্থকদের দেখে। মূলধারার বামপন্থী ডেমোক্র্যাটদের হাতে যেতে বসেছে দেশ,অভিযোগ করেছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সমর্থকদের উদ্দেশে হোয়াইট হাউজের দক্ষিণে এলিপসে জনসভায় তিনি বক্তব্য রাখবেন আশা করা গিয়েছিল। কিন্তু সেরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। এদিকে কলম্বিয়ার জেলা মেয়র জানিয়েছেন কোনও ভাবেই সংঘর্ষ বা বিশৃঙ্খলা মানা হবে না। শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাহিনী ছাড়াও ন্যাশনাল গার্ড সৈন্যদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি। উভয় রাজনৈতিক দলকেই সংযত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Washington is being inundated with people who don’t want to see an election victory stolen by emboldened Radical Left Democrats. Our Country has had enough, they won’t take it anymore! We hear you (and love you) from the Oval Office. MAKE AMERICA GREAT AGAIN!
কিন্তু সময় যত এগোচ্ছে ট্রাম্পের চাপ ততই বাড়ছে। এমনিতেই ভোটে জালিয়াতির অভিযোগ দাঁড়ায়নি। এগারোজন সেনেটর তাঁর পক্ষ নিলেও স্বয়ং তাঁর প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। এমনকি উপরাষ্ট্রপতি পেন্সকে ট্রাম্প চাপ দিয়েছেন যাতে অধিবেশনে সভাপতিত্ব করার সময় ওই তালিকায় তিনি হস্তক্ষেপ করতে পারেন। কিন্তু চাপের কাছে নতি স্বীকার করেননি পেন্স। বিশেষজ্ঞদের ধারণা ট্রাম্পের এই মরিয়া চেষ্টা শুধুমাত্র জটিলতা বাড়াতে পারে, নির্দিষ্ট দিনে বাইডেনকে রাষ্ট্রপতি চেয়ারে বসা থেকে আটকাতে পারে না।