#ক্যালিফোর্নিয়া: সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে যে যাঁরা যাতায়াত করার জন্য সাইকেল বেছে নিয়েছেন, এই পৃথিবীকে দূষিত করায় তাঁদের অবদান সব চেয়ে কম। কারণ একটি গাড়ি বা বাইকের চেয়ে সাইকেল থেকে ৮৪% কম কার্বন-ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়। ইউরোপের সাতটি শহর, যার মধ্যে ছিল লন্ডন, রোম এবং বার্সেলোনাও, সেখানে সমীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন গবেষকরা। ট্রান্সপোর্টেশন রিসার্চে প্রকাশিত এই গবেষনাপত্রে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে সাইকেল চালকদের জন্যই কার্বন নির্গমণ কম হয়। যাঁরা কোনও দিন সাইকেল চড়েননি এবং সব সময়ে গাড়ি বা বাইকে যাতায়াত করেন, তাঁদের কার্বন-ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন করার দায়ভার অনেক বেশি।
এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ব্যক্তি পিছু যাতায়াতের জন্য প্রতি দিন ৩.২ কেজি করে কার্বন উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে ৭০% হয় গাড়ি করে যাতায়াতের জন্য। যত বেশি করে গাড়ির বদলে বাইক ব্যবহার করা হবে, কার্বনের পরিমাণ বাতাসে তত কম হবে। যার ফলস্বরূপ আমরা পাব শুদ্ধ বাতাস এবং দূষণমুক্ত শহর।
লন্ডন, রোম, অ্যানটোয়ার্প, বার্সেলোনা, ভিয়েনা, জুরিখ ও ওরেব্রোর মতো সাতটি বড় শহরে ১০,৭২২ জনের উপরে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল।
ইরভাইনে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন যে পৃথিবী যত উত্তপ্ত হয়ে যাবে, বাজ পড়ার সংখ্যা তত বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ ঝড় বৃষ্টির সময়ে আগের চেয়ে দ্বিগুণ হারে বাজ পড়বে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন। এছাড়াও বৃদ্ধি পাবে দাবানল এবং উত্তর মেরুর বরফ আরও বেশি করে গলে যাবে। ২০১৯ সালে উত্তর মেরুর ৩০০ মাইলের মধ্যে বাজ পড়ে। এই খবর প্রকাশ্যে নিয়ে আসে ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস। উত্তর মেরুর মতো অঞ্চলে এটি একটি বিরল ঘটনা। এর চেয়েও ভয়াবহ খবর দিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাঁরা বলেছেন যে পৃথিবী যদি এইভাবে উষ্ণ হতে থাকে তাহলে আগামী শতকের মধ্যে আর্কটিক অঞ্চলে বাজ পড়ার পরিমাণ ১০০ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে।
এই গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে কী ভাবে পৃথিবীর উষ্ণায়নের জন্য মেরু অঞ্চলের আবহাওয়া পাল্টে যাচ্ছে। এখনই সংযত না হলে আগামী দিনে এখানে নিয়মিত ঝঞ্ঝাবাত হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।