#শেনজেন: মারাত্মক গবেষণা হয়েছিল চিনের এই ল্যাবে! শিশুর শরীরের জিন পাল্টে দিয়েছিলেন এক গবেষক। আর সেই অবৈধ গবেষণায় শিশুদের শরীরের জিন পাল্টে দেওয়া হত। এমন করে ডিএনএ বদলে দেওয়া হত যেন আর কোনও রোগের থেকেই এই শিশুদের শরীরের কোনও ক্ষতি না হয়। যে কোনও সাধারণ মানুষের থেকে এই শিশুরা হবে শক্তিশালী। এককথায় মানব শরীরকে ব্যবহার করে মারণ অস্ত্র বানানোর পরিকল্পনাই কর হত চিনের এই ল্যাবে।
চিনের বিখ্যাত গবেষণাগার সেনজেন ল্যাব। আর সেখানেই জিনাকুই ও তাঁর সঙ্গী সাত গবেষক মিলে নিজের হাতে মানুষের জিনের গঠন পাল্টে দিয়ে মানবসভ্যতার ইতিহাস বদলে দিতে চেয়েছিলেন। হংকংয়ের একটি কনফারেন্সে তিনি একদিন সারা বিশ্বকে চমকে দিয়ে ঘোষণা করেছিলেন, যে মানুষের শরীরের জিনকে কাঁটাছেড়া করে তিনি তৈরি করেছেন এক নতুন শিশু। এক নয়, দুই। যমজ কন্যা সন্তান তিনি তৈরি করেছেন ল্যাবে। আর আরও একটি সন্তান তৈরি হওয়ার পথে। Crispr-Cas9 নাম দেওয়া হয়েছিল এই পদ্ধতির। যেখানে ওই মেয়েদের DNA বদলে দেওয়া হয়। সেই বিজ্ঞানীরা দাবি করেন, এই বদলের ফলে শরীরে HIV–এর মতো রোগ আর দানা বাঁধতে পারবে না। এমনকী শরীরে অনেক মারণ রোগই আর দেখা দেবে না। এককথায় মানুষের শরীরে এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি তৈরি হবে এই জিনের প্রভাবে।
এই ঘটনা সামনে আসার পরেই আদালতে ওঠে পুরো বিষয়টি। সেখানে দেখা যায়, এক দম্পতিকে এই গবেষণার জন্য ব্যবহার করছেন বিজ্ঞানীরা। সেই দম্পতির মধ্যে একজন HIV পজিটিভ। তাঁদের ওষুধ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে এই মারণ গবেষণার অংশ করা হয়েছে, যা বেআইনি। সেই কারণেই এই গবেষণাপত্র ঘোষণার পরেই বিশ্বজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়। চিনের শেনজেন প্রদেশের আদালত ঘোষণা করে এই চিকিৎসা গবেষণা বেআইনি ভাবে করা হচ্ছিল। তাই গবেষকদলের প্রধানকে জেলে পাঠানোর রায় দেয়। বাকিদের কম হলেও সাজা দেওয়া হয়। কিন্তু সবচেয়ে ভয়ানক কথা, এমনভাবে প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে যদি মানুষ জিন বদলে দিতে পারে, তাহলে তো পৃথিবীর চেহারাই পাল্টে যাবে। সবচেয়ে বড় কথা, অনেক দেশই বলেছে, এগুলি হল মানব জীবনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার প্রথম পদক্ষেপ। আর সেখানেও জড়িয়ে আছে চিনের নাম।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: China