#বেজিং: প্রায় চার দশক আগে দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যায় লাগাম লাগাতে এক সন্তান নীতি চালু করেছিল তৎকালীন চিন সরকার। তখনও বিশ্বের মানচিত্রে অর্থনৈতিক দিক থেকে এতটা প্রভাবশালী হয়ে ওঠেনি চিন। সরকারের লাগু করা সেই নিয়ম শেষ হয় বছর পাঁচেক আগে। কিন্তু এই এক সন্তান নীতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসায় মানুষ এই অভ্যেসের বাইরে বেরোতে পারেননি। ফলে সামাজিক জীবনে তার প্রভাব দেখা গিয়েছে। অবস্থা অনেকটা জাপানের মত হয়েছে। চিনা সরকার এবং কমিউনিস্ট পার্টি বুঝতে পেরেছে এভাবে চলতে থাকলে দেশের জনসংখ্যায় ক্রমশ তলানিতে পৌঁছে যাবে।
বিয়ে ও জন্মহার বাড়াতে ম্যাচ মেকিং প্রচারাভিযান শুরু করেছে চিন। অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার তীব্র দুর্দশা রোধে সরকার এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এমনিতে ভারতের থেকে জনসংখ্যায় কিছুটা এগিয়ে থাকলেও তরুণ প্রজন্মের সংখ্যার বিচারে পিছিয়ে রয়েছে চিন। কর্তৃপক্ষ এখন শুধু তরুণদের বিয়ে করতে উৎসাহিত করছে না; তারা বিবাহিত দম্পতিদের একসঙ্গে রাখার চেষ্টা করছে। কমিউনিস্ট ইয়ুথ লিগ, সিসিপির যুব শাখা জীবনসঙ্গী খুঁজে পেতে সাহায্য করার জন্য গণ ‘ব্লাইন্ড ডেটিং’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।
এই এক সন্তান নীতি জন্মের সময় লিঙ্গ বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে চিনে নারীর চেয়ে ৩ কোটিরও বেশি পুরুষ আছে যারা বিয়ের জন্য কনে খুঁজে পাচ্ছেন না। এর ফলে সামাজিক পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে ও অসুবিধা সৃষ্টি হয়েছে। বিয়ে কম, লিভ ইন করার রীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে। এমন অবস্থায় মানুষদের হঠাৎ করে বিয়ে করে একাধিক সন্তান ধারণ করার বিষয়টি সরকারের পক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জ।
মানুষ ব্যক্তিগত জীবনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ পছন্দ করেন না। তার ওপর এই মুহূর্তে চিনের ওপর একাধিক দেশ বিভিন্ন অভিযোগ হেনেছে। মার্কিন প্রশাসন ইতিমধ্যেই দমন-পীড়ন নীতি নিয়ে হলুদ কার্ড দেখিয়ে রেখেছে জিনপিং প্রশাসনকে। তাই চিনের ম্যাচ মেকিং প্রকল্প কতটা সফল হবে একমাত্র সময় বলবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: China