#বেজিং: জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন ঠিক আর ষোলো দিন পর। বিদায় নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দিন যত এগিয়ে আসছে তত আমেরিকার সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক ভাল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে চিন। ট্রাম্প চিনকে করোনা ভাইরাসের কারণে ভিলেন প্রতিপন্ন করেছিলেন। শুধু তাই নয় তাইওয়ান, তিব্বত এবং ভারতের বিরুদ্ধে আগ্রাসন নিয়েও চিনকে একঘরে করে রাখার সবরকম চেষ্টা চালিয়েছিলেন। এমনটাই মনে করে চিন। সম্প্রতি চিনের বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং ই জানিয়েছেন তাঁরা আশাবাদী বাইডেন রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই দেশের সম্পর্ক উন্নতি করবে।
সম্প্রতি একটি চিনা সংবাদ সংস্থাকে তিনি জানিয়েছেন নতুন ভোরের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। তিনি যা বলতে চেয়েছেন তার সারমর্ম হল, যা ঘটেছে তা প্রমাণ করে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিনকে দমন করার এবং নতুন শীতল যুদ্ধ শুরু করার প্রচেষ্টা করেছে। এই পদক্ষেপ দু'জনের স্বার্থকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে তা নয়, বিশ্বে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে। ট্রাম্প যা করেছিলেন তা এক প্রকার ঠান্ডা যুদ্ধ বলে বর্ণনা করেছে চিন।এই জাতীয় নীতি কোনও সমর্থন খুঁজে পাবে না এবং এটি ব্যর্থ হবে। এখানেই না থেমে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছেন তিনি। অতীত ভুলে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে তাকানো উচিত মনে করে চিন।
“আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয়, সহযোগিতা এবং স্থিতিশীলতার ভিত্তিতে একটি সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রস্তুত। আমরা জানি যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু লোক চিনের দ্রুত বিকাশ সম্পর্কে অস্বস্তি বোধ করছে। তবে, এই মনোভাব ঠিক নয়। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার সর্বোত্তম উপায় হল অন্যের বিকাশকে অবরুদ্ধ না করে সাহায্য করা", বলছেন ওয়াং। কিন্তু ট্রাম্প জমানায় তৈরি হওয়া খারাপ সম্পর্ক যে ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে বিশ্বাস করে না চিন। ওয়াং বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি যে যতক্ষণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে এবং চিনের সঙ্গে একই দিকে কাজ করতে পারে ততক্ষণ দুই দেশই আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্যের সমাধান করতে এবং সহযোগিতার মাধ্যমে রূপান্তরকারী স্বার্থকে প্রসারিত করতে সক্ষম।"