#প্যারিস: ফ্রান্সের জনপ্রিয় পত্রিকা শার্লি এবদো ফের বিতর্কের কেন্দ্রে। কয়েক বছর আগে পয়গম্বের কার্টুন এঁকে বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল এই পত্রিকা। সেবার পত্রিকার সদর দফতরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়েছিল।শার্লি এবদোর কয়েকজন কর্মীকে অফিসে ঢুকে গুলিতে ঝাঁঝরা করেছিল জঙ্গিরা। সেই ঘটনা সারা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। সেই নৃশংস জঙ্গিহানার পরও শার্লি এবদোর সাহসে ভাঁটা পড়েনি। প্রচারমাধ্যমের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখার ব্যাপারে বারবার সওয়াল করেছে এই পত্রিকা। আর বারবারই বিতর্কিত বিষয়ে কার্টুন এঁকে তাঁরা খবরের শিরোনামে থেকেছে। সেই শার্লি এবদো আরও একবার বিতর্কের কেন্দ্রে। এবার তাদের নিশানা ব্রিটিশ রাজপরিবার।
মেগান মার্কেল ও ব্রিটিশ রাজপরিবারের মধ্যে চলতি দ্বন্দ্ব এবার শার্লি এবদোর কার্টুনের থিম। ওপ্রা উইফ্রের সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারের সময় মেগান ব্রিটিশ রাজপরিবারর বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ তুলেছিলেন। তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। সেই সাক্ষাত্কারের সময় প্রিন্স হ্যারিও ছিলেন মেগানের সঙ্গে। ব্রিটিশ রাজপরিবার বনাম মেগানের সেই দ্বন্দ্ব নিয়ে এবার শার্লি এবদো কার্টুন এঁকেছে। রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ অনেকেই সেই কার্টুনের সমালোচনা করেছেন। তাঁদের দাবি, ব্যক্তিগত বিষয় কখনওইই সার্বজনীন আলোচনার বিষয় হতে পারে না। শার্লি এবদোর এই কার্টুন নিয়ে ইতিমধ্যে চারপাশে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।
কী আছে সেই কার্টুনে! মহারানি এলজাবেথ হাঁটুতে চেপে ধরেছেন মেগান মর্কেলের গর্দান। এটাই তাঁদের সেই কার্টুনের থিম। কয়েক মাস আগে আমেরিকায় জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিল পুলিস। মার্কিন পুলিস অফিসার জর্জের গলায় হাঁটু মুড়ে বসে পড়েছিল। আই কান্ট ব্রিদ- বলে আর্তনাদ করেছিলেন জর্জ। কিন্তু লাভ হয়নি। সেই পুলিস অফিসারের মন গলেনি। এবার শার্লি এবদোর কার্টুনেও সেই থিম যেন উঠে এল। বর্ণবিদ্বেষ কীভাবে এক শ্রেণীর মানুষের টুঁটি চিপে ধরছে, সেটাই আসলে দেখাতে চেয়েছে ফ্রান্সের এই পত্রিকা।