#বেজিং: বাড়ির লোকেরা প্রচণ্ড চেঁচামেচি করেন! উঁহু! সেটা কিন্তু এর মধ্যেই ১০০ বছর পার করে দেওয়া এই বৃদ্ধের দিন নেই, রাত নেই মদ খাওয়া আর সিগারেট টেনে যাওয়ার জন্য নয়! হালফিলে কানে শুনতে একটু অসুবিধা হয়, তাই বাড়ির লোকেদেরও বাধ্য হয়েই গলা তুলতে হয় সপ্তমে। এ ছাড়া বাকি কোনও কিছু নিয়েই আর সমস্যা নেই!
খবর বলছে যে চিনের জিনজিন প্রদেশের বাসিন্দা এই বৃদ্ধের নাম ঝাং কেমিন। চলতি বছরের জুন মাসেই তিনি ১০০ বছরের ঘরে পা ফেলেছেন। সেই হিসেবে তাঁর বয়স এখন ১০০ পেরিয়ে বেশ কয়েক মাস হয়ে গেল। আর কেমিনের দাবি- তা না কি সম্ভব হয়েছে স্রেফ মদ, সিগারেট আর যা খুশি খাওয়ার জন্যেই!
মানে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা নিয়ে আমাদের সমাজে যে সব ধারণা প্রচলিত আছে, তার সবক'টাকেই তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন এই দীর্ঘায়ু বৃদ্ধ। সাফ জানিয়েছেন তিনি সম্প্রতি ল্যাড বাইবেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে- জীবনে কোনও দিন কোনও কিছুরই পরোয়া করেননি তিনি। যখন যেটা খেতে ইচ্ছে করেছে, তা সে যতই অস্বাস্থ্যকর হোক, নির্দ্বিধায় খেয়েছেন। রোজ মদ খেয়েছেন, সিগারেট পুড়িয়েছেন দেদার! এবং এই জীবনযাত্রার এই খামখেয়ালি ধরন এখনও বজায় রেখেছেন তিনি। তবে হ্যাঁ, ৯০ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পরে মদ খাওয়ার দৈনিক পরিমাণটা একটু কমিয়ে দিয়েছেন!
কেমিন জানিয়েছেন যে এই ১০০ পার করে দেওয়া বয়সেও তিনি রোজ এক বাক্স সিগারেট তো নিদেনপক্ষে খেয়ে থাকেনই! এ বিষয়ে যেমন কোনও দিনই কোনও শারীরিক অসুবিধা সহ্য করতে হয়নি তাঁকে, এখনও হচ্ছে না। খবর মোতাবেকে, ১৫ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন কেমিন। ২০ বছর বয়সে তিনি চিনের এক দোকানে খাতাদেখার চাকরি নেন। দোকানের অন্য কর্মচারীদের সঙ্গে মিশতে গিয়েই তাঁর সিগারেট টানা এবং মদ খাওয়ার অভ্যেস হয় যা আজও জারি রয়েছে। বিয়ের পরে তিনি চাষ শুরু করেন, পাশাপাশি অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য খাতাদেখার কাজটাও চালিয়ে যান।
সব মিলিয়ে পরিবারের ৫ প্রজন্ম নিয়ে সুখে আছেন কেমিন। একমাত্র বৃষ্টি পড়লেই বাইরে হাঁটাচলায় অসুবিধা হয় তাঁর, নইলে সে দিক থেকেও একেবারে চাঙ্গা আছেন তিনি!
অবশ্য, বৃষ্টির দিনে বাইরে বেরোতে না পারলেও তা নিয়ে মাথা ঘামান না কেমিন। নিজেই জানিয়েছেন- এ সব দিন তাঁর দিব্যি মদের গেলাস, সিগারেট আর টিভির রিমোট হাতে কেটে যায়!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: China