#লন্ডন: নেই জল, নেই খাবার, প্রায় দু’মাস জাহাজের কন্টেনারের ভেতর আটকে পড়েছিল ছোট্ট বিড়াল মন্টি। উদ্ধার পাওয়ার পরও তার হাবভাবে দেখা গেল না কোনও দুর্বলতা। হয়তো কন্টেনারের ভেতর থাকা মাকড়সাগুলোই ছিল মন্টির খাদ্য। কিন্তু দুঃখে হতাশায় ভেঙে পড়েছিলেন মন্টির মালিক দম্পতি, বেভারলি ও পল চ্যাপমান। মন্টি তাঁদের আদরের বিড়াল। মন্টির বিরহে তাদের মন ও দেহ দুই কাতর হয়ে উঠছিল। দু-একদিন নিরুদ্দেশ থাকাটা তাদের কাছে চিন্তার নয়। মন্টি প্রায়ই প্রতিবেশীর ঘরে, গাড়িতে, লরিতে, দোকান ঘরে কাটিয়ে আসে।
দুশ্চিন্তার শুরু হয় যখন প্রতিবেশীরাও তার কোনও খবর দিতে পারে নি। আশপাশে পোষ্যের খোঁজে হন্যে হলেও কোনও ফল পাওয়া গেল না। তখন সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিলেন ও পাড়ায় পোস্টারও লাগালেন। কেউ কেউ তাদের পোষা বিড়ালের বর্ণনা দিলেও সুরাহা হল না।
এরপর ক্রমশই চেপে ধরছিল আতঙ্ক যখন প্রথম কয়েক সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পরও কোনও সন্ধান পাওয়া গেল না। প্রায় সাত সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পর তারা একসময় আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন। এরপর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবার চেষ্টা শুরু করেন ওই দম্পতি। কিন্তু ভাগ্যদেবতা প্রসন্ন ছিলেন তাদের ওপর। যেদিন তিনি আবার কাজ শুরু করার জন্য অফিস খুলতে গেলেন, সেদিনই তার কাছে একটি বার্তা এল, তাঁদের এক বন্ধু একটি বিড়ালের বর্ণনা দিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন। জানতে পারলেন তাঁদের আদরের মন্টি আটকে ছিল একটি কন্টেনারের মধ্যে। মুহূর্তের মধ্যে তারা ছুটে যান মন্টির উদ্ধারে। দেখা যায় জাহাজের কন্টেনারটি তাদের বাড়ি থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে ছিল।
একটি ভিডিওতে বিড়াল উদ্ধারের দৃশ্যটি ধরা পড়ে। দেখা যায় বিড়ালটি কন্টেনার থেকে বেড়িয়ে আসছে। মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় এক ব্যক্তির ইউটিউবে আপলোড করা ভিডিওটি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওটির নাম দেওয়া হয় ভাইরাল হোম। ভিডিওটি পোস্ট করে ওই ব্যক্তি লিখেছিলেন, দু’মাস বন্দী থাকার পর মুক্তি, তার কান্নার আওয়াজে ওই শিল্পতালুকের কর্মীরা তার সন্ধান পায়। বলা বাহুল্য অতি অল্প সময়ের মধ্যেই ভিডিওটি যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সোশ্যাল সাইটে।