#বেজিং: হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে দায়িত্বভার বুঝে নেওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পূর্বসূরির নানা নীতি খারিজ করেছেন জো বাইডেন। অভিবাসন নীতি থেকে মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর তৈরি, প্যারিস জলবায়ু প্রকল্প থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সরে আসা, ইত্যাদি বিভিন্ন নীতি নতুন করে ঠিক করার ইঙ্গিত দিয়েছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্র থেকে আমেরিকায় আসার নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অদ্ভুতভাবে চিন প্রসঙ্গে এখনও মুখ খুলতে দেখা যায়নি বাইডেনকে। ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে চলার কথা জানালেও চিন নিয়ে একটিও শব্দ খরচ করেননি তিনি। নতুন মার্কিন প্রশাসনের নীতি কী হতে চলেছে জল মাপার চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। একটি অভিনব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তাঁরা। পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের ২৮ জন আধিকারিকের ওপরে নিষেধাজ্ঞা চাপাল বেজিং। তালিকায় যেমন রয়েছেন ট্রাম্পের বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও,তেমনই রয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও ব্রায়েন, স্বাস্থ্য সচিব আলেক্স আজার সহ অনেকে।
BREAKING: China sanctions 28 U.S. figures who it alleged to have severely violated China’s sovereignty, including Mike Pompeo and officials in the Trump administration, according to a statement from the Chinese foreign ministry, Bloomberg News reports https://t.co/GD6RYyO9EV pic.twitter.com/sfSds1946W
— Bloomberg (@business) January 20, 2021
চিনের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন বিভিন্ন সময় চিনকে চাপে রাখতে এঁরা অনৈতিক পথ বেছে নিয়েছিলেন। চিনের উন্নতি সহ্য করতে পারতেন না বলেই বেজিংকে বিশ্বের দরবারে নানাভাবে অপমান করার চেষ্টা হয়েছে। চিনের সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন করার চেষ্টা হয়েছে। এই অপমান ভালোভাবে নেয়নি বেজিং। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ওই ব্যক্তিরা বেজিং, ম্যাকাও সহ চিনের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে পারবেন না। নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইং। কিন্তু হঠাৎ করে ড্রাগনের এমন সিদ্ধান্তের পেছনে অন্য মতলব দেখছেন কূটনীতিক বিশেষজ্ঞরা। ট্রাম্প নিয়ে আমেরিকায় মানুষদের মধ্যেই বিভিন্ন মত রয়েছে। তাছাড়া বাইডেন ট্রাম্পের বিভিন্ন নীতি খারিজ করে নতুন ভোরের ইঙ্গিত দিচ্ছেন।
এসব দেখেই নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর প্রশাসনকে কাছে পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বেজিং। তাই ট্রাম্প প্রশাসনের আধিকারিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে বাইডেন প্রশাসনের মন পেতে চাইছে ড্রাগন। ট্রাম্পের আমলে দু'দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া টেনশন এবং খারাপ সম্পর্ক ভুলে নতুনভাবে শুরু করতে মরিয়া জিনপিং প্রশাসন। কিন্তু এক হাতে যেমন তালি বাজে না, তেমনই চিনের বাড়ানো বন্ধুত্বের হাতের জবাবে বাইডেন প্রশাসন যতক্ষণ না হাত বাড়াচ্ছেন, ততক্ষণ পরিষ্কার ছবি পাবে না চিন।