#নয়াদিল্লি: কয়েকদিন ধরেই ইন্টারনেটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক ঝাঁকড়া চুলের ব্যক্তি। এক ঝলক দেখলে মনে হতে পারে এ যেন থ্রি ইডিয়টস (3 Idiots)-এর প্রফেসর; ছবিতে যাঁর নাম ছিল বীরু সহস্ত্রবুদ্ধে (Viru Sahastrabuddhe)। একাধিক মিম, ভিডিও ক্লিপ বের হচ্ছে তাঁর ছবি দিয়ে। তৈরি হচ্ছে gif-ও। Facebook, Instagram বা Twitter, তিনি বাদ যাচ্ছেন না কোথাও। এবার তাঁকে নিয়েই নিজের অ্যাকাউন্টে রিভিউ দিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ইউটিউবার অজি ম্যান (Ozzy Man)।
ঝাঁকড়া চুলের ওই ব্যক্তিকে সম্প্রতি একটি ভিডিওতে দেখা যায়। যা ভাইরাল হয় নেটদুনিয়ায়। সেখান থেকেই জনপ্রিয় হন তিনি। ভিডিওটিতে দেখা যায়, রাস্তায় খুব মারপিট করছেন ওই ব্যক্তি। এবার সেই ভিডিওতেই নিজের ভিউজ জুড়ে অজি-ম্যান রিভিউজ (Ozzy Man Reviews) নামের Twitter অ্যাকাউন্টে অজি-ম্যান পোস্ট করলেন একটি ভিডিও।
তাতে নিজের স্টাইলে কমেন্ট্রি দিতে দিতে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করলেন ঘটনাটি। ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে বাগপতের ঝাঁকড়া চুলের চাচাকে ভারতের আইনস্টাইন বলেও আখ্যা দিলেন। ভিডিওটি ভালো করে দেখলে বোঝা যাবে, তিনি পুরো মারপিটটাই কমেন্ট্রি স্টাইলে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। কোথাও অবাক হয়ে বলেছেন, সবাই এমন ভাবে মারপিট করছে যে জুতো পর্যন্ত খুলে যাচ্ছে! একজনের অস্ত্র আরেকজন নিয়ে মারধর শুরু করছে- সেটাও অজি ম্যানতে অবাক করেছে। গোটা ভিডিওতে চাচাকে মার খেতে দেখা গেলেও শেষে অবশ্য তাঁকে পাল্টা মার দিতেও দেখা যায়।
অজি ম্যানের এই ভিডিওটি ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ লাইক করেছেন। ভিডিওটি রিট্যুইট হয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার বার। কমেন্টও পড়েছে বহু। অনেকেই মারধরের কারণ বুঝতে পারেনি। অনেকে আবার তার কমেন্ট্রিকে ভালো বলেছে। অনেকে তাঁর এই ভিডিওটি বিশ্লেষণও করার চেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, যাতে আসল ঘটনাটি সকলে বুঝতে পারে।
https://twitter.com/OzzyManReviews/status/1364841701647343620?s=20যিনি এই ভিডিওটি পোস্ট করেছেন, সেই অজি-ম্যানের আসল নাম এথান মারেল (Ethan Marrell)। তিনি নিজের YouTube চ্যানেলে বিভিন্ন বিষয় রিভিউ দেন। বিভিন্ন বিষয়ের উপরে ভাইরাল হওয়া ভিডিও পোস্ট করেন।
কিন্তু কী ঘটেছিল সে দিন যা ওই চাচাকে ভাইরাল করে দেয়?
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলার বড়ৌত শহরের অতিথি ভবন বাজারের দু’টি খাবারের দোকানের মালিক এবং তাঁদের কর্মচারীদের মধ্যে মারামারি হয়। ওই ঘটনায় আহত হন ১২ জন। মারামারির জন্য ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যার মধ্যে ছিলেন ওই চাচাও। মারপিটের জন্যই তিনি ভাইরাল হন।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, তাঁর আসল নাম হরেন্দ্র। তাঁর খাবারের দোকান ওই এলাকায় প্রায় ৪০ বছরের পুরনো। ওই বাজারের মধ্যে তাঁর প্রতিযোগী একটি দোকান রয়েছে। যেটা তেমন চলে না। কিন্তু সেই দোকানের কর্মচারীরা তাঁর দোকানের নামে উল্টোপাল্টা কথা বলে ক্রেতাদের। তিনি জেলে যাওয়ার আগে এই বিষয়ে বলেন, ওরা খালি আমার ক্রেতাদের টানার চেষ্টা করে। বলে, আমার দোকানের খাবার আগের দিনের তৈরি। গত কয়েকদিনে চার থেকে পাঁচ বার এমন করেছে ওরা। তার পরেই এই মারপিট হয়।
গ্রেপ্তার করার পর হরেন্দ্রকে যে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানকার ছবিও ভাইরাল হয়। যা নিয়ে রীতিমতো মিমের বন্যা বইছে আপাতত নেটদুনিয়ায়!
গার্গী দাস
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।