#অস্ট্রেলিয়া: গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন এক দম্পতি। আচমকাই সময় গাড়ির বনেট বেয়ে উইন্ড স্ক্রিনে উঠে আসে বিশাল এক পাইথন। তাড়াহুড়োয় গাড়ির ওয়াইপার দিয়েই সাপটিকে সরানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে ভিডিওটি। অনেকেই দম্পতির এই নিষ্ঠুর আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের কথায়, এতে সাপটির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত। তবে চলন্ত গাড়িতে এইরকম অস্থির পরিস্থিতির জন্য অনেকে আবার ওই দম্পতির পাশে দাঁড়িয়েছেন।
The Daily Mail-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেলিসা হাডসন (Melissa Hudson) ও রডনে গ্রিগস (Rodney Griggs) নামে ওই দম্পতি নর্থ কুইন্সল্যান্ডের (Queensland) ব্রুস হাইওয়ে ধরে অ্যালিগেটর ক্রিকের (Alligator Creek) দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ঘটনাটি ঘটে। মজার বিষয়টি হল, ওয়াইপার দিয়ে সাপটিকে সরানোর চেষ্টা করছিলেন দম্পতি, কিন্তু তাতেও সরানো যায়নি পাইথনটিকে। এদিকে সাপটিকে তাড়াতে না পেরে রীতিমতো হাসতে শুরু করে দেন দু'জনে। ভিডিওটি দেখলে বোঝা যাচ্ছে, মহিলা যে কী করবেন, তা বুঝতে পারছেন না। মাঝে মাঝে তাঁর স্বামীকে সতর্ক করছেন, মনোযোগ দিয়ে গাড়ি চালাতে বলছেন। কারণ সাপটিকে তাড়ানোর চক্করে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
একাধিক সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে ভিডিওটি। সম্প্রতি YouTube-এ ভিডিওটি শেয়ার করেছেন একজন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ৩ মিটারের পাইথনকে তাড়াতে শেষমেশ উইন্ড স্ক্রিন ওয়াইপার ব্যবহার করছে দম্পতি। ১৯ হাজারের বেশি লাইক পড়েছে ভিডিওটিতে। এক ব্যবহারকারী কমেন্টে লিখেছেন, দম্পতি বড্ড বোকা। গাড়িটা থামিয়ে সাপটিকে বাঁচানো যায়। আর নিজেও বাঁচা যায়। এভাবে ওয়াইপার দিয়ে তাড়ানোর কোনও মানে হয় না। এতে নিচে পড়ে যাবে সাপটি, চাকায় পিষে তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তবে নেটিজেনদের একাংশ দম্পতির পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের কথায়, চলন্ত গাড়িতে এইরকম অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হলে তাঁরাও এই ধরনের কিছু করে বসতেন।
বার বার উইন্ড স্ক্রিন ওয়াইপারের ধাক্কা খেয়ে একসময় নিস্তেজ হয়ে গিয়েছিল সাপটি। তবে শেষমেশ এই প্রাণীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। মেলিসা হাডসন জানিয়েছেন, একইসঙ্গে ভয় আর উত্তেজনা দু'টোই কাজ করছিল। একটু এদিক-ওদিক হলেই বড় বিপদ হতে পারত। যদি সাপটি গাড়ির নিচে পড়ে যেত বা গাড়ির মধ্যে ঢুকে যেত, তাহলে বড় বিপদ হতে পারত। তবে ট্র্যাফিক পুলিশের সহযোগিতায় সাপটিকে উদ্ধার করা গিয়েছে। তাঁর কথায়, ট্র্যাফিক পুলিশ বেশ সাহসী ছিলেন এবং তাঁদের সর্বতভাবে সাহায্য করেন। পুলিশকর্মীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মেলিসা।