#নিউইয়র্ক: নামের আগে ওই যে হট শব্দটা জুড়ে দেওয়া হয়েছে, তা থেকে ব্যাপারটা সহজেই মালুম করে নেওয়া যায়! এই এক্সোপ্ল্যানেট সহজেই গলিয়ে ফেলতে পারে ভারি ভারি ধাতু! এতটাই উত্তপ্ত সে!
কিন্তু নেপচুন গ্রহের নামটা তার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে কেন? আর সোজাসাপটা প্ল্যানেট না বলে এক্সোপ্ল্যানেট নামের একটা পরিভাষা জুড়ে দেওয়ারই বা অর্থ কী?
হট নেপচুন নিয়ে বিশদ খবরে আসার আগে এই দুটো ব্যাপার একটু সহজ করে নেওয়া যাক। যে সব গ্রহ আয়তনে নেপচুনের কাছাকাছি, একই সঙ্গে অবস্থান করে সৌরজগৎ বা সোলার সিস্টেমের বাইরে, তাকেই জ্যোতির্বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয়ে থাকে এক্সোপ্ল্যানেট।
এই জায়গায় এসে প্রাথমিক জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে ছোটবেলার পড়াশোনাটা আর স্রেফ এক ধাপ ঝালিয়ে নেওয়া যাক! মনে পড়ছে কি- সব গ্রহ কিন্তু সৌরজগতে অবস্থান করে না? সূর্যকে ঘিরে পাক খাচ্ছে যারা, তাদেরই অবস্থান একমাত্র সোলার সিস্টেমের মধ্যে। যেমন, আমাদের এই পৃথিবী। আবার তেমনই মঙ্গল, শুক্র, বৃহস্পতি, শনি এই সব গ্রহেরাও প্রদক্ষিণ করছে সূর্যকে।
কিন্তু এক্সোপ্ল্যানেটের ক্ষেত্রে তেমনটা হয় না। এরা থাকে সৌরজগতের বাইরে। কাছাকাছি যে নক্ষত্র থাকে, তার অক্ষপথে পাক খায় এরা। আর সেখান থেকেই তৈরি হয় এদের বিশেষত্ব।
কেন না, এই এক্সোপ্ল্যানেট আকারে এতটাই ছোট হয় যে পাক খেতে খেতে তারা যখন সংশ্লিষ্ট নক্ষত্রের সঙ্গে ঘষা খায়, তখন একেবারে ধ্বংস হয়ে যায়! তা ছাড়া, এই গ্রহ থেকে সংশ্লিষ্ট নক্ষত্রের মধ্যেকার যে ব্যবধান, যাকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের পরিভাষায় নেপচুন ডেসার্ট বা নেপচুনের মরুভূমি বলা হয়, সেখানে এমন এক্সোপ্ল্যানেট বড় একটা চোখে পড়েও না।
এই সব বিষয়ের জন্য সম্প্রতি ন্যাশনাল এয়ারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ওরফে নাসা-র ট্র্যানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট মারফত এই হট নেপচুনের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়ে যারপরনাই অবাক হয়েছেন ইউনিভার্সিটি অফ কানসাসের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এর পোশাকি নাম তাঁরা দিয়েছেন প্ল্যানেট এলটিটি ৯৭৭৯বি। ইয়ান ক্রসফিল্ড, যিনি এই হট নেপচুন নিয়ে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক, জানিয়েছেন এই অবাক হওয়ার প্রকৃত কারণ। এই এক্সোপ্ল্যানেট আলো বিকিরণ করছিল, সেটা দেখেই এর অস্তিত্ব সম্পর্কে সজাগ হয়েছেন সবাই। এক্সোপ্ল্যানেটের এই আলো বিকিরণ করার ঘটনাও বড় একটা ঘটে না!
প্রাথমিক খবর মোতাবেকে এই এক্সোপ্ল্যানেটের উপরিভাগ এতটাই উত্তপ্ত যে দস্তা, প্ল্যাটিনামের মতো ভারি ধাতু গলে যেতে পারে নিমেষেই। এ ছাড়া এই এক্সোপ্ল্যানেট অকল্পনীয় গতিতে পাক খাচ্ছে নিজের কাছাকাছি নক্ষত্রের অক্ষপথে। পৃথিবীর ১ বছরের সময়সীমা হট নেপচুনের জগতে মাত্র ১ দিন!
চমকে দেওয়ার মতো খবর তো বটেই! আশা করাই যায়, ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আগে একে নিয়ে আরও কিছু খবর মিলতে পারে নাসা-র তরফে!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Astronomers, Hot Neptune