#নিউইয়র্ক: হালফিলে কি পৃথিবীর দিকে এই গ্রহাণু ধেয়ে আসার খবর একটু বেশিই পাওয়া যাচ্ছে?
তা দেখুন, এই যে আকাশভরা সূর্য তারা, এ নিয়ে তো কবি হন বা বিজ্ঞানী- কোনও তরফের কারও মনেই কোনও সন্দেহ নেই। আর তারা যখন সংখ্যায় অগুনতি, তখন ঘন ঘন ধেয়ে আসতেই বা বাধা কোথায়! হাজার হোক ব্যাপারটা আদতে প্রকৃতির নিয়ম এবং খেয়াল, পছন্দ হোক বা অপছন্দ হোক, আমাদের টেলিস্কোপে চোখ রেখে চেয়ে থাকা ছাড়া আর করার আছেটাই বা কী!
ন্যাশনাল এরোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ওরফে নাসা-র নর্থ-আর্থ অবজেক্ট সেন্টারও সেটাই করেছে! তার পর টেলিস্কোপ মারফত যে তথ্য তারা পেয়েছে, তা পেশ করেছে আমাদের সামনে। তাদের সাম্প্রতিক খবর মোতাবেকে বোয়িং ৭৪৭ জেট বিমানের চেয়েও বড় এক গ্রহাণু পৃথিবীর কক্ষপথ ঘেঁষে বেরিয়ে যেতে চলেছে আগামী ৭ অক্টোবর। গ্রহাণুটার নাম রাখা হয়েছে ’2020 RK2’। আর গোত্রের দিক থেকে ধরলে নাসা তার জায়গা বরাদ্দ করেছে অ্যাপলো অ্যাস্টেরয়েড গোষ্ঠীতে।সংস্থা আরও জানিয়েছে যে এ হেন গ্রহাণু ২০২০ আরকে২ সেকেন্ডে ৬.৬৮ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে পৃথিবীর কক্ষপথের দিকে। চিন্তা নেই, আমাদের কাছে এটা বেশ বলার মতো এক গতিবেগ হলেও গ্রহাণুর নিরিখে তা খুবই কম। মোদ্দা কথা, এ অতি শ্লথ গতির এক গ্রহাণু, কাজেই এর থেকে পৃথিবীর বিপদের কোনও আশঙ্কাই নেই। গত মাস থেকে হরেক পর্যবেক্ষণের পর এই সিদ্ধান্তে এসেছে নাসা।
তা, এই যে বলা হচ্ছে জেট বিমানের চেয়েও বড়, আদতে এই গ্রহাণুর মাপজোকটা ঠিক কেমন? নাসা-র বক্তব্য অনুযায়ী এই ২০২০ আরকে২ ব্যাসের দিক থেকে ধরলে ৩৬-৮১ মিটার। আর প্রস্থের কথা তুললে ১১৮ থেকে ২৫৬ ফুট। গ্রহাণুর দিক থেকে বিচার করলে আয়তনটা ছোটই বলতে হবে। তা ছাড়া সুপারম্যানের যাতে ছুটে আসার প্রয়োজন না হয়, সে জন্য ঢ্যাঁড়া পিটিয়েই রেখেছে সংস্থা- ২০২০ আরকে২ ৩৮,২৭,৭৯৭.৩৪ কিলোমিটার দূরত্বের তফাত রেখে পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাবে হেলে-দুলে। তার পর আবার তার ২০২৭ সালের আগে এ-মুখো হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Asteroid