#সাংহাই: আমেরিকা বনাম চিন ঠান্ডা লড়াই এখন আর শুধু কূটনীতিকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সামরিক ক্ষেত্রে যুদ্ধ শুরু হয়নি বটে, কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্রে দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েন প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। সম্প্রতি সাংহাইয়ের পুলিশ ছয় মার্কিন সহ মোট নয়জন শিক্ষার্থীকে আটক করে। শিক্ষার্থীদের দাবি তাঁরা নির্দোষ। পুলিশ বিনা প্ররোচনায় আটক করেছে।
ক্রমশ আমেরিকার চাপে এক ঘরে হয়ে পড়া চিন শেষপর্যন্ত নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের টার্গেট করবে ব্যাপারটা অমানবিক। একই রাতে দুটি পৃথক ঘটনার জের ধরে তাঁদের আটক করা হয়েছে। দুই মার্কিন শিক্ষার্থীকে বার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন যুবকের মাথায় লাথি মারা হয়েছে, আরেকজন নারীকে সাধারণ পোশাকে পুলিশ আটক করতে গেলে ধস্তাধস্তির সময় সে আঘাত পায়। ওইদিন রাতেই এক জন্মদিনের পার্টি থেকে আরো সাতজন শিক্ষার্থীর একটি দলকে আটক করা হয় যাঁরা যুক্তরাষ্ট্র,ফিনল্যান্ড,মরক্কো ও মালোয়েশিয়ার নাগরিক।
আটকের পর শিক্ষার্থীরা মাদক গ্রহণ করে না করে না, সে বিষয়ে পরীক্ষা চালানো হয় এবং পরীক্ষার ফলাফল নেতিবাচক আসে। আটকের ১১ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই ছাত্রদের ওপর চিনা পুলিশের এই বর্বর আচরণে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। কোনও সভ্য দেশের পুলিশ বিনা প্রমাণে ছাত্রদের গায়ে হাত তুলতে পারে না।
নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির একজন মুখপাত্র জুন শিহ ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, "কেন জন্মদিনের পার্টি থেকে সবাইকে আটক করেছিল তা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ জানে না। আমাদের ধারণা পুলিশ কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে টার্গেট করে এমন করেছে।" তবে একটা ব্যাপার নিশ্চিত। চিনা পুলিশের এই বর্বর আক্রমণের পর আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক আরও ধাক্কা খেল। এর দাম হয়তো চোকাতে হবে ড্রাগনকে। বাইডেন প্রশাসনের রোষানলে রয়েছে জিনপিং সরকার। এই ঘটনা আগুনে ঘি পড়ার মত। এই জল কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।