#আরব আমিরশাহী: তালিবানি কব্জায় দেশকে তুলে দিয়ে প্রথমে কাবুল থেকে পালিয়ে তাজাকিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন আফগানিস্তানের সদ্য ক্ষমতাচ্যূত প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি (Ashraf Ghani)। সেখানে আশ্রয় না পেয়ে বিমান ঘুরিয়ে ওমান পৌঁছন তিনি। তারপরই তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে তিনি পরিবার নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে রয়েছেন বলে জানা গেল। বুধবার শেষপর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (UAE) সরকারের তরফে জানানো হয়, আশরাফ গনি রয়েছেন তাদের দেশে ৷ মানবিকতার তাগিদেই গনিকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে ৷ আর এরপরই সামনে আসে গনির বেশ কয়েকটি মন্তব্য। যেখানে তিনি দাবি করেছেন, দেশের মানুষের সঙ্গে কোনও 'গদ্দারি' করেননি তিনি। যদিও আফগানরা বলছেন, গনি তাঁদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ এবং মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছেন।
গনি ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন তিনি। কিন্তু তার আগেই তাঁর বক্তব্য ভেসে আসে ভিডিও বার্তায়। সেখানে তিনি বলেন, 'নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে দেশকে দিয়ে এসেছিলাম। তাই তালিবানরা আমাকে খুঁজছিল। ওরা আমাকে খুঁজছিল। ২৫ বছর আগে আফগানিস্তানে যা হয়েছিল, তারই পুনরাবৃত্তি হল।' গনির সংযোজন, 'রক্তপাত চাইছিলাম না। তালিবানের হাতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা তুলে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তা আর হল না।'
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দেশত্যাগের সময় চারটি গাড়ি ও একটি হেলিকপ্টার ভর্তি নগদ অর্থ নিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টারে জায়গা না হওয়ায় কিছু নগদ অর্থ ফেলে যেতে হেলিপ্যাডেই ফেলে যেতে বাধ্য হয়েছেন আফগান প্রেসিডেন্ট। চারটি গাড়ি ভরা নগদ অর্থ ছিল। তাঁরা নগদ অর্থের আরেকটি অংশ একটি হেলিকপ্টারে ঢোকানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু জায়গা হয়নি। নগদ অর্থের একটা অংশ বিমানবন্দরের টারমাকে ফেলে গেছেন। এই অভিযোগ নিয়েও মুখ খুলেছেন গনি। বলেছেন, 'দেশের কোনও অর্থ আমি সঙ্গে করে আনিনি।'
প্রসঙ্গত, রবিবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করে তালিবান। তার আগেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান আশরাফ গনি। গন্তব্যে পৌঁছেও এক ফেসবুক পোস্টে গনি লিখেছিলেন, রক্তপাত এড়াতে দেশত্যাগ করেছেন তিনি। কিন্তু দেশের চার কোটি নাগরিকের চোখে এক মুহূর্তেই অপরাধী হয়ে গেলেন আশরফ গনি। দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। গনি যদি খোলসের মধ্যে ঢুকে না থাকতেন, তা হলে অনেক আগেই বিকল্প উপায় বার করা যেত বলে মনে করছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরাই।নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।