#আমেরিকা: পুরনো জিনিস জমানোর শখ অনেকেরই রয়েছে। কখনও পুরনো টাকা, পুরনো আসবাবপত্র বা কখনও পুরনো বই...তালিকা বাড়বে বই কমবে না! অনেকেই আবার প্রথম বিশ্বযুদ্ধ বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার জিনিসও জমান। শখ অনুযায়ী, এই জমানোর তালিকাও থাকে বিভিন্ন রকমের। যাঁদের এই শখ রয়েছে তাঁদের মধ্যে কেউ কি কখনও টয়লেট সিট জমানোর কথা ভেবেছেন? হয় তো ভাবেননি। কিন্তু একটি অকশন সাইটে এই টয়লেট সিটই নিলামে বিকোচ্ছে। তাও আবার মোটা টাকার বিনিময়ে!
এই টয়লেট সিট কোনও সাধারণ টয়লেট সিট নয়। সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি এই সিটটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার। ব্যবহার করেছিলেন খোদ অ্যাডলফ হিটলার (Adolf Hitler)। আর তার জন্যই নিলামে উঠেছে এই টয়লেট সিটটিও। দাম রাখা হয়েছে ভারতীয় মুদ্রার প্রায় সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা। আপাতত নিলাম সংস্থার ওয়েবসাইটে এটি দেখা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে নিলামের একটি অনুষ্ঠানে এই টয়লেট সিটটি রাখা হবে।
কী ভাবে পাওয়া গেল এই টয়লেট সিট?
বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, এই টয়লেট সিটটি বহু বছর আগে হিটলারের একটি ব্যক্তিগত স্নানাগার থেকে চুরি করেছিলেন একজন আমেরিকার সেনা জওয়ান। এই সিটটি বারগফে রাখা ছিল।
রাগনভাল্ড বোর্চ নামের ওই আমেরিকার সেনা জওয়ান জানান, তাঁকে একদিন বারগফে তরফে বলা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ওই জায়গা থেকে যা চান নিয়ে যেতে পারেন। তখন তিনি আগে ওই কাঠের টয়লেট সিটটি নেন। যা বেভারিয়ান আল্পসে হিটলারের ব্যক্তিগত স্নানাগারে রাখা ছিল।
টয়লেট সিট নিয়ে যেতে দেখে, তাঁকে বাকি সেনা জওয়ানরা প্রশ্ন করেন, কেন এই কাজ করছেন তিনি! বোর্চ উত্তর দেন, যেখানে হিটলার মল ত্যাগ করতেন, সেটাও ঐতিহাসিক!
টয়লেট সিটটি এর পর তিনি নিজের নিউ জার্সির বাড়িতে নিয়ে যান এবং বাড়ির নিচে এটিকে সাজিয়ে রাখেন। এবার এই সিটটিকেই তাঁর পরিবারের লোক অকশনে দিচ্ছে।
আলেকজান্ডার অকশন নামে একটি সংস্থার তরফে দাবি করা হচ্ছে, এটি অন্যতম আকর্ষণীয় জিনিস তাঁদের কাছে, যাঁরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কোনও সামগ্রী নিজের কাছে রাখতে চান।
সংস্থার তরফে টয়লেট সিটটির বিবরণও দেওয়া হয়েছে। বিবরণে দেখা হয়েছে, এটি হিটলারের পর থেকে আর কখনও কেউ ব্যবহার করেননি। এটি সম্পূর্ণ কাঠের ও পিছনে দু'টি স্টিলের হুক আছে।
প্রসঙ্গত হিটলার এই বেভেরিয়ান আল্পসে নিজের জীবনের বেশিরভাগ সময়টাই কাটিয়েছেন। ফলে এই স্নানাগার এবং টয়লেট সিটটিও তিনি অনেকবারই ব্যবহার করেছেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।