#সিডনি: কথায় বলে, ‘লজ্জা, ঘেন্না, ভয়, তিন থাকতে নয়।’ কিন্তু বাস্তবে কী একেবারে লজ্জা না থাকলে চলে? লজ্জার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে সভ্যতার মাপকাঠিও। নিজের বাবাকে প্রকাশ্যে ভেজা চুমু খাওয়া মোটেই সেই সভ্যতার মাপকাঠিতে সঠিক বলে গন্য হয় না, সেটা আর কাউকে বলে দিতে হবে না। কিন্তু সেই সভ্যতা ভদ্রতার দিকে খেয়াল রাখছে কে? অর্থের লোভে বোধহয় যা খুশি করা যায়। অস্ট্রেলিয়ায় ঘটে যাওয়া ঘটনা তেমনই একদিকে ইঙ্গিত করছে। কেইল ও জ্যাকি ও শো, একটি জনপ্রিয় রেডিও শো অস্ট্রেলিয়ার। সেখানে তাঁরা অতিথিদের একটি চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলেন। সেটিকে বলে ‘বয়ফ্রেন্ড অর ড্যাডি’। এদিনও সেই চ্যালেঞ্জের খেলাই চলছিল। খেলায় জিতলে ১ হাজার মার্কিন ডলার উপহার পাওয়ার কথা ছিল প্রতিযোগিদের। প্রতিযোগি ছিলেন ২৬ বছরের স্ট্যাসি ও ৪৯ বছরে নিক।
কিন্তু বাবার সামনে ক্রমাগত একের পর এক যৌনগন্ধী প্রশ্ন করে যান সঞ্চালক। তবু দেখা যায় বাবা বা মেয়ে, কেউ একেবারেই সামান্যতম অস্থিরতায় পরেননি। বরং দুজনে মজা করছেন। মজা করে নানারকম উত্তর দিচ্ছেন। এমনকী মেয়ে বাবাকে নিয়ে বলেন, যে তিনি যৌনতার অনেকটাই শিখেছেন বাবার কাছ থেকে। প্রশ্ন করার বদলে উল্লে উত্তরের চেটো অস্বস্তিতে পড়ে যান সঞ্চালকরা। সব শেষে এই টাকা জিততে দেওয়ার জন্য একটি শর্ত সঞ্চালকরা দেন ওই বাবা মেয়েকে। তাঁরা বলেন, একেবারে বয়ফ্রেন্ডের মতো চুমু খেতে হবে দু’জনকে। এককথায় অবিলম্বে দু’জনে দু’জনের ঠোঁটে মুখ ডুবিয়ে দেন তাঁরা। দীর্ঘক্ষণ চলে সেই চুম্বন পর্ব। যে দেখে রেডিও অফিসের অন্য কর্মীরা পর্যন্ত অবাক হয়ে যান। অবাক হয়ে যান অনুষ্ঠানের সঞ্চালকদ্বয়। তাঁরা সকলেই ভাবেননি শেষ পর্যন্ত এই দাবি এমন স্বচ্ছন্দে মেনে নিয়ে পালন করবেন বাবা মেয়ে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Photo viral