#তাইল্যান্ড: থাবা বসিয়েছে করোনা ভাইরাস, এরমধ্যেই আচমকা মরতে লাগল একের পর একা ঘোড়া! খামারের মালিক ভেবেছিলেন, নির্ঘাৎ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ঘোড়াগুলো, কিন্তু পরীক্ষার পর মিলল অন্য এক রিপোর্ট! মৃত ঘোরাদের শরীরে করোনার অস্তিত্ব নেই, উলটে রয়েছে এক অজানা ভাইরাস! বিশেষজ্ঞরা নমুনা পরীক্ষা করে মনে করছেন, এই মারণ ভাইরাসটির উৎসও বাদুড়, এই ভাইরাসে মানুষেরও মৃত্যু হতে পারে!
রাজধানী ব্যাংকক থেকে ১০০ মাইল দূরে অবস্থিত এক খামারের মালিক নোপাদল সারপোলা জানিয়েছেন, ৯ দিনে তাঁর খামারের ১৮টি ঘোড়ার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর ভাষায়, '' প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না কীভাবে মরছে ঘোড়াগুলো! অনেকের ধারনা, চিন থেকে আসা কিছু জেবরার থেকেই ঘোড়ায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে।''
একে তো করোনায় তছনছ হয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্ব! বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, বাদুড় থেকেই এসেছে করোনা, তার উপর এই অজানা ভাইরাসের হানা! এক্ষেত্রেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ভাইরাসের উৎস বাদুড় এবং মানব দেহেও সংক্রমণ ঘটাতে পারে... তাহলে কি এই ভাইরাসও করোনার মতোই বিধ্বংসী ? নয়া ভাইরাসের উৎপত্তিতে ফের চিন্তায় গোটা পৃথীবি!
ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকেই মরক শুরু হয়। ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে ৫০০-র বেশি ঘোড়া মারা গিয়েছে। মৃত ও আক্রান্ত ঘোড়াদের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে এটি এক জাতীয় 'অ্যাফ্রিক্যান হর্স সিকনেস' অর্থাৎ আফ্রিকার ঘোড়াদের অসুখের সঙ্গে এই ঘোড়াগুলির উপসর্গের মিল রয়েছে। এই ভাইরাল অসুখে আফ্রিকায় এখনও পর্যন্ত কোনও মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়নি, কিন্তু ঘোড়াদের থেকে জেবরা ও সম জিনের প্রাণীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। কয়েক যুগ ধরে আফ্রিকাতে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে বহু ঘোড়া মৃত্যু হয়েছে, তবে গত ৫০ বছরে এশিয়ায় এই রোগের প্রকোপ দেখা যায়নি।
এই অজানা ভাইরাসের হানায় তাইল্যান্ডের ঘোড়া মালিকদের চোখে-মুখে আশঙ্কার ছাপ! একই সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের কপালেও চিন্তার ভাঁজ! কারণ বর্তমানে যে-যে সংক্রমণে মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, তার ৭০ শতাংশ-ই জন্তু থেকে এসেছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Horse death