#মস্কো: তুষার যুগে দাপিয়েছে সে। ভয়াল জন্তুটিকে দেখে বোঝার উপায় নেই সেটি কোনও হিংস্র কুকুর নাকি নেকড়ে। সাইবেরিয়ার তুমেট অঞ্চলে এমনই ১৪ হাজার বছরের মৃত পশুর দেহ সমীক্ষা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরছেন একদল বিজ্ঞানী।
স্টকহম বিশ্ববিদ্যালয় এবং সুইডিশ ন্যাচারাল মিউজিয়ামের গবেষকরা ২০১১ সাল থেকেই এই মৃত পশুটির ফসিল নিয়ে পরীক্ষানীরিক্ষা চালাচ্ছে। পরীক্ষায় দেখা যাচ্ছিল, পশুটির পেটে অন্য কোনও পশুর লোম রয়েছে। এতদিন ধরে কল্পনা করা হচ্ছিল এই হিংস্র প্রাণীটি সিংহ খেয়ে ফেলত। কিন্তু সম্প্রতি সেই ধারণা বদলাচ্ছে।
স্টকহম বিশ্ববিদ্যালয় এবং সুইডিশ ন্যাচারাল মিউজিয়ামের গবেষকদের একজন বলছেন, "আমরা ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখেছি এই জন্তুর পেটে যে পশম পাওয়া গিয়েছে তা সিংহর নয়। বরং আমাদের তথ্যতালিকা মিলিয়ে আমরা দেখছি এটা কোনও রোমশ গন্ডারের দেহাবশেষ (Woolly rhinoceros)।রেডিওকার্বন ডেটিং করে দেখা যাচ্ছে এই শিকারী কুকুরটির বয়স অন্তত ১৪০০০ বছর। অন্য দিকে এই রোমশ গণ্ডার বা Woolly rhinoceros-ও পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়। তাই বিজ্ঞানীদের অনুমান এই ঘাতক নেকড়েই পৃথিবীর শেষ রোমশ গণ্ডারটিকে উদরস্থ করেছে।
এডানা লর্ড নামক এক গবেষক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে বলেন, সেদিনের গন্ডার আজকের মতোই আকৃতির ছিল, তবে হিংস্র ছিল আরও বেশি। এই শিকারী প্রাণীটির পক্ষে তাকে একা কাবু করা সহজ ছিল না। অন্য দিকে, এই নেকড়েটি কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায়। বিজ্ঞানীদের অনুমান হয়তো এই শিকারী কুকুর বা নেকড়েটির মা শিকার ধরেছিল। এবং ভোজনপর্বের সময় মৃত গণ্ডারের মা প্রতিশোধ নিয়ে নেয়।
বিজ্ঞানীরা এত অবাক হচ্ছেন তার কারণ, চলতি ধারণায় তুষার যুগে কোনও মাংসাশী প্রাণীই ছিল না বলে এতকালের অনুমান ছিল। এই শিকারী কুকুরটি সেসব ধারণাই ভেঙে দিয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Russia, Wooly rhinoceros