#কার্ডিফ: এক দশক পর ফের দেখা মিলল ডাইনোসরের। না ঠিক ডাইনোসর নয়, তবে এ বার তার পায়ের ছাপ আবিষ্কার করল চার বছরের একটি ফুটফুটে বাচ্চা মেয়ে। ওয়েলসের একটি সমুদ্র সৈকতে খেলতে খেলতে হঠাৎই চোখে পড়ে যায় মেয়েটির। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গত এক দশকের মধ্যে ব্রিটেনে পাওয়া এটি সেরা ছাপ। ছোট্ট মেয়ে লিলি ওয়াইল্ডারের, এই বিশেষ আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের বুঝতে সাহায্য করবে যে ২২০ মিলিয়ন বছর আগে ডাইনোসরেরা কেমন ভাবে হাঁটাচলা করত!দক্ষিণ ওয়েলসের সমুদ্র সৈকতে হেঁটে যাওয়ার সময় ছোট্ট লিলি ডাইনোসরের ওই ১০ সেন্টিমিটার দীর্ঘ পায়ের ছাপ খুঁজে পায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই পায়ের ছাপ নিশ্চয়ই ৭৫ সেন্টিমিটার কোনও প্রাণীর হবে। একটি প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, খুব সম্ভবত ওই প্রাণীটি তার পিছনের দু'টি পায়ে হেঁটে পোকামাকড় বা ছোট ছোট প্রাণী শিকার করত।ওয়েলস মিউজিয়াম লিলি ওয়াইল্ডারের আবিষ্কার করা ডাইনোসরের পায়ের ছাপের একটি ছবি শেয়ার করেছে। ওয়েলসের ন্যাশনাল মিউজিয়ামের প্যালিওন্টোলজির অর্থাৎ জীবাশ্ম বিশেষজ্ঞ সিন্ডি হওয়েলস বলেছেন, ডাইনোসরের পায়ের ছাপ "এই সৈকতে পাওয়া এই ছাপটি একটি সেরা নমুনা"।
View this post on Instagram
জাতীয় জাদুঘর ওয়েলসের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ডাইনোসরের পায়ের ছাপটি এতই স্পষ্ট যে তাদের পায়ের কাঠামো কেমন ছিল তা বিজ্ঞানীদের বুঝতে সহায়তা করবে। পায়ের ভাব এখানে খুবই পরিষ্কার, এমনকী নখের ছাপগুলিও প্রদর্শন করার পক্ষে যথেষ্ট স্পষ্ট''।লিলির মা স্যালি ওয়াইল্ডার জানিয়েছেন, "লিলি এবং রিচার্ড (তার বাবা) ডাইনোসরের পায়ের ছাপ একসঙ্গে দেখতে পায়। লিলি প্রথম দেখতে পেয়ে তার বাবাকে ডাকে। রিচার্ড যখন বাড়িতে ফিরে আমাকে এই ছবিটি দেখিয়েছিল তখন আমার সত্যিই এটিকে আশ্চর্যজনক বলে মনে হয়''।লিলি এটি আবিষ্কার করার পরে, ওয়েলস সরকার আইনীভাবে পদচিহ্ন সরানোর জন্য বিশেষ অনুমতি দিয়েছে। জীবাশ্মটি এই সপ্তাহে উত্তোলন করা হবে এবং এটি জাতীয় জাদুঘর কার্ডিফে সংরক্ষণের জন্য রাখা থাকবে।