#ইংল্যান্ড: পরিবারে সন্তানের আগমনের ঘটনা তো আর মুখের কথা নয়! কিন্তু ৩৬ কেজি আতসবাজিও যে নিতান্ত ফেলনা কিছু নয়, সেটাও একটা মাথায় রাখার মতো ব্যাপার! কিন্তু এক উচ্ছ্বসিত দম্পতি আনন্দ জাহির করার চোটে বেমালুম ভুলে মেরে দিলেন সেই কথাটা! পরিণামে সারা শহর কেঁপে উঠল ভূমিকম্পের মতো তীব্র আলোড়নে।
জানা গিয়েছে যে এ হেন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি সম্প্রতি ঘটেছে ইংল্যান্ডের নিউ হ্যাম্পশায়ারে। বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল বিদেশের সংস্কৃতিতে সন্তানের লিঙ্গপরিচয় ঘোষণা করে পার্টি দেওয়া এবং সেই উপলক্ষ্যে হইচই করা একটা ইন থিং! তবে এবার সেই হইচইয়ের মাত্রা হয়ে উঠল লাগামছাড়া!
নিউ হ্যাম্পশায়ার পুলিশ জানিয়েছে যে এই দম্পতি পার্টি করার জন্য শহরের এক ফাঁকা জায়গাই বেছে নিয়েছিলেন, লোকালয়ে ৩৬ কেজি আতসবাজি একসঙ্গে ফাটানোর ঝুঁকি তাঁরা নেননি। এই উপলক্ষ্যে তাঁরা বেছে নিয়েছিলেন শহরের সেই জায়গা যেখানে আগ্নেয়াস্ত্রের প্রয়োগ শেখানো হয়। কিন্তু তাঁদের সিদ্ধান্তে ভুল ছিল ওই ৩৬ কেজি বাজি একসঙ্গে ফাটানোর ব্যাপারে। ফলে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে এক দিকে যেমন কানে তালা ধরে যাওয়ার মতো আওয়াজ সৃষ্টি হয়, তেমনই গোটা শহর কেঁপে ওঠে তুমুল আলোড়নে।
এক শহরবাসী এই প্রসঙ্গে পুলিশকে জানিয়েছেন যে ওই ভয়ানক আওয়াজ কানে আসার পর কয়েক মুহূর্তের জন্য তিনি নড়াচড়ার ক্ষমতা হারিয়েছিলেন। বুঝতেই পারছিলেন না যে ঠিক কী ঘটছে এলাকায়! আর তার পরেই তুমুল আলোড়নে কেঁপে ওঠে পায়ের তলার মাটি, দুলে ওঠে তাঁর বাড়ি। আরেকজন শহরবাসী জানিয়েছেন যে সেই আলোড়ন এতটাই তীব্র ছিল যে তাঁর বাড়ির দেওয়াল থেকে বাঁধানো ছবি খসে পড়েছিল! শহরের অনেক বাড়িই যে এই তীব্র আলোড়নে কেঁপে উঠেছে, তা জানিয়েছে পুলিশও।
প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে যে পুত্রসন্তানের আগমনের খবর উদযাপন করতেই এ হেন কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই দম্পতি। তবে তাঁদের নাম পুলিশ প্রকাশ করেনি। শুধু এটুকু জানিয়েছে যে এই বিস্ফোরণ লাগামছাড়া হলেও ওই দম্পতি সৌভাগ্যবশত সুস্থ আছেন, বিস্ফোরণে তাঁদের কোনও ক্ষতি হয়নি। ঘটনাটি নিয়ে আপাতত তদন্ত জারি রেখেছে নিউ হ্যাম্পশায়ার পুলিশ। কে বা কারা এই বিপুল পরিমাণ বাজির জোগান দিয়েছেন ওই দম্পতিকে, আপাতত সেটা খুঁজে বের করার প্রচেষ্টায় রয়েছে প্রশাসন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।