#নয়াদিল্লি: পৃথিবীতে এসেছিল অন্যগ্রহের এক বস্তু। তবে তা আজ থেকে প্রায় ৮ বছর আগে। এত দিন তা জানতে পেরে চোখ কপালে উঠেছে বিজ্ঞানীদের। সম্প্রতি আমেরিকার স্পেস কম্যান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে পৃথিবীতে এসে ধাক্কা লাগে একটি গ্রহাণুর। বিজ্ঞানীরা এত দিন পরে জানতে পেরেছেন, সেই গ্রহাণুটি এসেছিল অন্য সৌরজগত থেকে। যা এক কথায় অভূতপূর্ব।
আমেরিকার স্পেস কম্যান্ডের পক্ষ থেকে একটি ট্যুইট করা হয়েছে বুধবার। সেই ট্যুইটে বলা হয়েছে, হাভার্ডের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে আমির সিরাজ ও আব্রাহাম লোয়েব জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে পৃথিবীতে এসে ধাক্কা মারা গ্রহাণুটি আসলে অন্য সৌরজগতের। যে গতিতে এসে এটি ধাক্কা মেরেছিল ও যে প্রকৃতির এই গ্রহাণুটি, সেটি দেখে বোঝা যায়, এটি অন্য সৌর জগতের। এটির দৈর্ঘ্যে ছিল ১.৫ ফুট চওড়া।
আরও পড়ুন: 'আজই পারলে সময় দিন', ফের মমতাকে চিঠি, কী নিয়ে জরুরি আলোচনা চান রাজ্যপাল?
এই নতুন আবিষ্কার বিজ্ঞানের অনেক হিসাব পাল্টে দিয়েছে। এই অবিষ্কারের ফলে অন্য সৌরজগতের কোনও গ্রহাণুর পৃথিবীতে এসে পড়ার ঘটনা পিছিয়ে গিয়েছে আরও তিনটি বছর। এর আগে মনে করা হত, ২০১৭ সালে Oumuamua নামে রহস্যজনক যে বস্তুটি পৃথিবীতে এসে পড়ে, সেটিই প্রথম অন্য সৌরজগতের বস্তু। কিন্তু তা তো নয়। এ বারে সেই ঘটনার সময় ২০১৪ সালের জানুয়ারি।
আরও পড়ুন: আম আদমি পার্টির নিশানায় 'কর্মতীর্থ', জরুরি বৈঠকে মুখ্যসচিব! যা হল নবান্নে...
যে দুই বিজ্ঞানী এই দাবি করেছেন, তাঁরা প্রথম ২০১৯ সালে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। সেখানে তাঁরা বলেন, তাঁরা ৯৯.৯৯ শতাংশ নিশ্চিত যে ২০১৪ সালের বস্তুটি অন্য গ্রহ থেকে এসেছে। তবে তাঁরা কোনও অনুমোদিত পত্রিকায় সেটি প্রকাশ করতে পারেননি, কারণ, বেশ কিছু তথ্য ছিল আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গোপনীয়তায় বাঁধা। সেই কারণে স্বীকৃতিও মেলেনি। কিন্তু ২০২২ সালের মার্চ মাসে তাঁরা মার্কিন প্রশাসনিক সহায়তায় এই তথ্য প্রকাশ করতে পারেন। সেই তথ্যের জোরেই তাঁদের দাবি প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: NASA