#ঢাকা: বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্তে গোপালগঞ্জের একটি মাঠে নির্বাচনী প্রচারে সভা করার কথা ছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সেদিন তাঁকে প্রাণে মারার জন্য সেই মাঠে ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা প্লান্ট করেছিল জঙ্গিরা। কিন্তু সেদিন ভাগ্যের জোর ও নিরাপত্তা কর্মীদের তৎপরতায় শেখ হাসিনার কোনও ক্ষতি হয়নি। তাঁর হেলিকপ্টার নামার আগেই বিরাট আকারের সেই বোমা উদ্ধার করেছিলেন সুরক্ষাকর্মীরা। কুড়ি বছর আগেকার ঘটনা। তারপর এই ঘটনায় জড়িতদের পাকড়াও করতে বিস্তর তদন্ত হয়েছে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছিলেন, হরকতুল জিহাদি ইসলামী (হুজি-বি) নামের বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন সেদিন হাসিনাকে মারার ছক কষেছিল।
সেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১৪ জন জঙ্গিকে এদিন ফাঁসিতে ঝোলানোর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের আদালত। এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিল হুজি-বির মাথা মুফতি হান্নান। ২০১৭ সালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারের উপর প্রাণঘাতী হামলার জন্য তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল। হাসিনাকে প্রাণে মারার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ২৫ জনকে কুড়ি বছরের কারাদণ্ড ও কুড়ি হাজার টাকা করে জরিমানা করেছিল আদালত। আর এবার ২১ বছর আগের সেই ঘটনায় জড়িত ১৪ জনকে ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত। যদিও এই ১৪ জনের মধ্যে পাঁচজন এখনও ফেরার।
নজনকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে আদালত। তবে অভিযুক্তদের তালিকা থেকে মুফতি হান্নানের নাম সরানো হয়েছিল। আদালত জানিয়েছে, বাকি পাঁচজনকে পাকড়াও করে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে। ২১ বছর আগে সেদিন গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় একটি মাঠে নির্বাচনী সভা করতে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সেই মাঠে ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা প্লান্ট করেছিল জঙ্গিরা। অতি শক্তিশালী সেই বোমা বিস্ফোরণ হলে সেদিন বড়সড় ক্ষতির সম্ভাবনা ছিল। শেখ হাসিনার সঙ্গে আরও বহু মানুষ প্রাণ হারাতে পারতেন। তাই এই ঘটনাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখেছে বাংলাদেশের আদালত।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bangladesh