#কলকাতা: জুড়ে গেল কলকাতা-খুলনা। ৫২ বছর পর চালু হল যাত্রিবাহী ট্রেন বন্ধন এক্সপ্রেস। বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত হয়ে যশোর থেকে খুলনা পর্যন্ত যাবে এই ট্রেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ট্রেনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন। নবান্ন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই ট্রেন চালুর ফলে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজ হল।
সে ১৯৬৫ সালের কথা। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর বন্ধ হয়ে যায় কলকাতা ও খুলনার মধ্যে ট্রেন যোগাযোগ। তারপর থেকেই ফের এই ট্রেন চালুর দাবি উঠছিল। অবশেষে দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত ভাবে চালু হচ্ছে ‘মৈত্রী ট্রেন-২’ বা বন্ধন এক্সপ্রেসের পরিষেবা। ট্রেনটি বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত হয়ে যশোর থেকে খুলনা পর্যন্ত যাবে। গত ৮ এপ্রিল পরীক্ষামূলক ভাবে এই ট্রেন চালানো হয়। ওই দিন খুলনা থেকে ছেড়ে ট্রেনটি কলকাতায় আসে।
যাত্রী ভোগান্তি কমাতে ৩ নভেম্বর থেকে কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের পশ্চিমবঙ্গের গেদে ও বাংলাদেশের দর্শনায় অভিবাসন ও ইমিগ্রেশন চেকিং তুলে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে ট্রেন চলাচলের সময় কমে যাবে প্রায় তিন ঘণ্টা। পরিবর্তে কলকাতা ও ঢাকা স্টেশনেই দুই যাত্রীদের পরীক্ষা করা হবে।
গত ২৩ থেকে ২৫ মে কলকাতায় ভারত ও বাংলাদেশের রেল মন্ত্রকের আধিকারিকদের বৈঠকে এই মৈত্রী-২ ট্রেনটি চালানোর সিদ্ধান্ত হয়।
প্রথম পর্যায়ে সপ্তাহে ২ দিন চলবে মৈত্রী-২
ট্রেনটিতে মোট ১০টি কোচ রয়েছে
রয়েছে এসি কেবিন ও চেয়ার কার
বসতে পারবেন ৪১৮ জন যাত্রী
কলকাতা স্টেশন থেকে ছাড়বে সকাল ৭-১০ মিনিটে
খুলনায় পৌঁছবে বেলা ১১টায়
অভিবাসন ও শুল্ক বিভাগের কাজ হবে পেট্রাপোল ও বেনাপোল সীমান্তে। কলকাতা ও খুলনার ১৮০ কিলোমিটার পথের ভাড়া ঠিক হয়েছে এসি কেবিন ৮ ডলার ও চেয়ার কার ৫ ডলার। এই ট্রেন চালুর ফলে আরও সহজ হবে দুই বাংলার যোগাযোগ।