হাওড়া: আগুনে গিলে ফেলেছে সর্বস্ব, শুধুমাত্র গায়ের কাপডটুকু ছাড়া কোনও কিছুই অবশিষ্ট নেই তাদের। এ ঘটনা পাঁচলার পনিয়াড়াতে। তখন সবে সন্ধা কিছুক্ষন গড়িয়েছে। রাতের খাবার রান্না হবে, এদিকে আলো জ্বালাবার কিছুই নেই। ইলেকট্রিক আলো জ্বালাবে সে ক্ষমতা নেই। ল্যাম্প বা বাতির উপরই ভরসা করে চলে। কেরোসিন দাম নাগালের বাইরে, অন্ধকার দূর করতে তাই একমাত্র ভরসা বাতি।
আরও পড়ুন: ফেলে দেওয়া ভাঙা টালির টুকরোতে ঋষি মনীষীর ছবি
বাতি কিনতেই বেরিয়েছিলেন তিনি, কিছুক্ষণ পরে ফিরে এসে দেখেন বেড়া ঘেরা টালির ছাউনির ঘর তখন দাউ দাউ করে জ্বলছে। তখন দুই ছেলেরাও নেই। ঘরের পাশেই ছোট্ট ছাগল থাকার ঘর, আগুন ছড়িয়েছে সেখানেও, কোন রকমে ছাগলের দড়ি কেটে উদ্ধার করেন। কিন্তু ততক্ষণে ওই অবলা প্রাণী গুলোর কারও কারও দেহে ছড়িয়েছে আগুন। পাড়া-প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় আগুন নেভে। ছাগল গুলিও আগুনে বেশ জখম। হয়ত প্রাণে বাঁচবেনা দু একটি।
আরও পড়ুন: শিক্ষকই হাল ধরলেন পঞ্চায়েতের! পঞ্চায়েতের আগে দারুণ চমক প্রশংসায় পঞ্চমুখ গ্রামবাসীরা
দুই ছেলে দিন মজুর, প্রতিদিন কাজ থাকেনা সেভাবে উপার্জনও হয়না। দিন এনে দিন খাওয়া। কোন মতে ডাল ভাত খেয়ে দিন কাটে। অভাবী সংসার অনেক আশায় বুক বেঁধেছিলেন বৃদ্ধা তারা রায়। ছাগল বিক্রি হলে মেরামতি করবেন ঘর। কিন্ত তা আর হলো কই। সব কিছু পুড়ে ছাই। এখন যে নাওয়া খাওয়াই বন্ধ, চোখের জল চোখেই শুকোচ্ছে। বৃদ্ধা জানান, সরকারি সুবিধা বলতে রেশন টুকুই সম্বল।
রাকেশ মাইতিনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Fire Incident, Howrah news