হাওড়া: প্রায় পাঁচ দশক আগে গঙ্গা থেকে এসেছিলেন মা ভবতারিণী। জানা যায়, কাঠের বাক্সের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল মায়ের শিলা মূর্তি। সে প্রায় পাঁচ দশক আগের কথা। গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে কাঠের বাক্সের মধ্যে থেকে মায়ের শিলা মূর্তি পান হাওড়ার এক বাসিন্দা। চিকিৎসক কালিপদ পাইন। কালিপদ বাবু বাড়ির সামনের মন্দিরে মায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সে সময় তিনি জাঁকজমক করে মায়ের পুজো আরাধনা করতেন।
কালিপদবাবুর অবর্তমানে গ্রামের মানুষ সেই মন্দির দেখাশোনা শুরু করেন। হাওড়ার জগাছা সাতাশিতে কালিপদবাবুর বাড়ি সেখানেই মায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। বাংলার ১৩৮৩ সালের ৭ চৈত্র। সেই দিন থেকেই শুরু হয় মায়ের নিত্যপুজো। পাশাপাশি প্রতি বছর ৭ ই চৈত্র অনুষ্ঠিত হয় বাৎসরিক পুজো।
আরও পড়ুনঃ দুয়ারে সরকার নিয়ে বিরাট টার্গেট, পঞ্চায়েত ভোটের আগে গাইডলাইন প্রকাশ নবান্নের
আরও পড়ুনঃ এলাহি দোতলা বাড়ি, ভাড়া মাত্র ২০ টাকা! ভূ-ভারতে এমন পাবেন না, বাংলায় কোথায় আছে?
জানা যায়, ডা: কালিপদ পাইনের মৃত্যুর পর মন্দিরের পরিচর্যার অভাব দেখা দিয়েছিল। তবে তার পরবর্তী সময়ে গ্রামের মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পুনরায় জাঁকজমক করে শুরু হয়। নিত্যদিনের পুজো এবং বাৎসরিক অনুষ্ঠান। গ্রামের মানুষ মন্দিরের দায়িত্ব রয়েছে। দিনে দু'বার, সকাল ও সন্ধ্যায় মায়ের পূজো অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে নিয়ম মেনে বেশ ঘটা করেই পূজো অনুষ্ঠিত হয় মায়ের।
বিশেষ বিশেষ দিনে বহু দূর দূরান্ত থেকে আসেন ভক্ত।স্থানীয়দের কথায়, এই মা খুবই জাগ্রত। নানা অলৌকিক ঘটনা ঘটে জাগ্রত মায়ের কৃপায়। স্থানীয় মানুষ জানায় মন্দির লাগোয়া বেল গাছ থেকে ভেসে আসে চন্দনের গন্ধ। আশ্চর্যজনক ভাবে কোনও হাওয়া বাতাস ছাড়াই ভেঙে পড়ে বেল গাছের ডাল। এমন অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী এলাকার মানুষ।
রাকেশ মাইতি
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Local news