হাওড়া: বুধবার সাঁকরাইল বিডিও-এর নির্দেশ মত পঞ্চায়েত অফিসের তত্বাবধানে গাছটি কাটা হয়৷ সেই ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মদক্ষ মান্নান মোল্লা ও পঞ্চায়েত সদস্য হামিদ শেখ৷ গাছ কাটার মুহূর্তে হাজির ছিলেন বিধায়িকা প্রিয়া পাল। বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রায় ৬-৭ ঘণ্টা ধরে চলে গাছ কাটার কাজ। ইলেক্ট্রিক তার ও পোস্ট থাকার কারণে সমস্যায় পড়তে হয়। এলাকার ইলেকট্রিক পরিষেবা বন্ধ রেখেই গাছ কাটা হয়। এবার এলাকা বিপদ মুক্ত,এমনটাই মনে করছেন এলাকাবাসী। হাওড়া জেলার সারেঙ্গা কে টি টি এলাকায় রাজ্য সড়কের উপর দাঁড়িয়ে ছিল প্রকাণ্ড শুকনো গাছ। ব্যস্ততম ওই রাস্তা দিয়ে বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত প্রতিদিন।এই রাস্তা দিয়ে নলপুর থেকে সাঁকরাইল মানিকপুর যেতে হয় সাধারণ মানুষকে৷ প্রাণ হাতে করে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বিপদজনক ওই গাছের নিচ দিয়ে যেতে হত তাদের৷ একদিকে শুকনো গাছের ডালপালা ভেঙে ভেঙে পড়ছে অন্যদিকে গাছ সংলগ্ন ইলেকট্রিক পোস্ট দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছিল বলে অভিযোগ৷ এলাকার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে গাছটিকে কাটার জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও রকম সুরাহা মিলেনি বলে অভিযোগ। সাধারণ মানুষ ও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে সাঁকরাইল বিডিও অফিসে বিডিও-র কাছে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে৷ এক মাস অতিক্রান্ত হয়ে যাবার পরও কোনও রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি প্রশাসন৷ অবশেষে সংবাদ মাধ্যমে খবরটি সম্প্রচার হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিপদজনক গাছ কাটার ব্যবস্থা করে প্রশাসন৷ এর ফলে খুশি ওই এলাকার মানুষ৷ তারা বলেন, এতদিন ছোটদের নিয়ে গাছের নিচ দিয়ে ভয়ে ভয়ে যেতাম৷ এবার বিপদ মুক্ত হওয়া গেল৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Howrah