হোম /খবর /হাওড়া /
জেলার অন্যতম অর্থকরী ফসল পান, তবুও চাষ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে কৃষকরা

Howrah News: জেলার অন্যতম অর্থকরী ফসল পান, তবুও চাষ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে কৃষকরা

X
title=

জেলার অন্যতম অর্থকরী ফসল পান, তবুও পান চাষ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে কৃষকরা।

  • Hyperlocal
  • Last Updated :
  • Share this:

    হাওড়া: জেলার অন্যতম অর্থকরী ফসল পান, তবুও পান চাষ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে কৃষকরা। এর কারণ হিসেবে জানা যায়, প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই চাষে ক্রমেই অবস্থার অবনতি হতে দেখা গিয়েছে বর্তমান সময়ে বহু কষ্ট করে বিঘার পর বিঘা জমিতে পান চাষ করে লাভের লাভ কিছুই মিলছে না চাষীদের।

    এমন অনেকই রয়েছে যারা বংশ-পরম্পরায় এই পান চাষের সঙ্গে যুক্ত। বাবা ঠাকুরদার আমলে পান চাষ দারুন লাভজনক ছিল। কিন্তু দিন দিন পানের বাজার মন্দা হওয়ার কারণে বর্তমানে সমস্যায় পান চাষীরা। এই চাষ একেবারে অলংজনক হয়ে পড়েছে।হাওড়া জেলার বাগনান উলুবেড়িয়ার কিছুটা অংশ এবং আমতায় প্রধানত পানের চাষ হয়। বর্তমানে জেলায় সমস্যায় পড়েছেন কয়েক হাজার পান চাষী। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে গেছেন আবার হয়ত বাজার ফিরবে। কিন্তু সেই অপেক্ষা বৃথা, জানাচ্ছেন  তাঁরা।

    আরও পড়ুন: ক্ষতিপূরণ পেলেন অ্যাসিড আক্রান্ত ছাত্রী, ঘটনা জানলে চোখে জল আসবে

    উলুবেড়িয়ার যদুবেড়িয়া গ্রামের পান চাষী দীনবন্ধু বাড়ুই জানান, 'বাপ-ঠাকুরদার সময় থেকে প্রায় ১২ বিঘা জমিতে পান চাষ আমাদের। তখন পান চাষে ভাল আয় ছিল। পান চাষ করেই বাড়িঘর তৈরি, স্বাচ্ছন্দে চলেছে সংসার। কিন্তু বেশ কয়েক বছর হল পানের চাহিদা কম হয়েছে, কমেছে পানের দাম। তার উপর গত তিন চার বছর দাম খুব কম। আর এবছর একেবারে অসহ্য, অবিক্রি পান। তিনি জানান, নতুন পানের দাম কম। সারা বছরের মধ্যে ফাল্গুন, চৈত্র মাসে পুরোনো পান পাতার দাম বেশি থাকে। এ বছর পুরনো পাতাও দাম কম।'

    তিনি আরও জানান, 'এবার পান চাষ বন্ধ করে দিতে হবে। কারণ পান বিক্রি করে খরচটুকুই উঠছে না। একসময় জোরদার পানের বাজার চলত পাঁচলার রানীহাটি, উলুবেড়িয়ার খলিসানি, বাগনান ও পান বাজার। এখন বাজারে পানের দোকান থাকলেও সেভাবে ক্রেতা নেই। পানের মোট তৈরি করে হাওড়া বাজারে ট্রেনে করে নিয়ে যেতে যে খরচ হয় সেই খরচই অনেক সময় ওঠে না। পাশাপাশি তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে সমস্ত পান বরোজ মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিল। সেই বরজ মাটি থেকে তুলে খাড়া করতে, প্রায় লক্ষ টাকা খরচ হয়। কিন্তু একাধিকবার সরকারি ক্ষতিপূরণের আবেদন জানিয়েও মেলেনি।'

    দীনবন্ধু বাবু জানান, 'বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের বাইরের রাজ্য থেকে পাইকারি বহু ক্রেতা আসত। এখন হাতে গনা পাইকারি দু একখানা ক্রেতা আসেন। তাদের থেকে ভাল দামও পাওয়া যায়না। তার ফলেই এই সমস্যা।'

    অন্যদিকে বাঁশবেড়িয়া জগরামপুরের পান চাষী অমর মন্ডল জানান, 'সেই ছোটবেলা থেকে পান চাষের সঙ্গে যুক্ত। এই এলাকার প্রায় ৯০% মানুষ পান চাষের সঙ্গে যুক্ত। সকলের অবস্থা একই। দিন দিন খারাপ হচ্ছে। ফলে পান চাষ থেকে সকলেই সরে দাঁড়াতে চাইছেন। পানের দাম কমছে। বিভিন্ন মশলা ও গুটখার চাহিদা বাড়ার ফলে।'

    রাকেশ মাইতি

    First published:

    Tags: Howrah