#হাওড়া: কালক্রমে পরিবর্তিত হচ্ছে সমাজ ব্যবস্থার। সেইসঙ্গে পরিবর্তনশীল সামাজিক রীতিনীতি সাজ সরঞ্জাম আচার-অনুষ্ঠান। এর মধ্যে পরিবর্তন হয়েছে সমাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্রেরও। লক্ষণীয় কয়েক দশক আগে যে জিনিস মহাসমারোহে ব্যবহৃত তা আর সচরাচর দেখা মেলে না এমন উদাহরণ ভুরি ভুরি। সেই পথেই হাঁটছে বাংলার সংস্কৃতির ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে থাকা মৃৎ শিল্প। মাটির তৈরী সামগ্রী ছাড়া গ্রাম বাংলার কথাই ভাবা যায় না! কিন্তু বর্তমানে মাটির তৈরি জিনিসের চাহিদার অভাবে একপ্রকার হারিয়েই যেতে বসেছে। আমাদের সমাজ সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, এখনো গ্রাম বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এই শিল্প।
এক সময় মাটির তৈরি জিনিসত্র, চাহিদা ছিল অতুলনীয়। যেমন সাংসারিক অধিকাংশ জিনিসপত্র মাটির হাড়ি, কলসি, ঘটি, বাটি,থালা,যাবতীয় পুজোর সামগ্রী, খেলনা সামগ্রী মাটির পুতুল ইত্যাদি। চাহিদা কম হতে হতে বর্তমানে একেবারেই হারিয়ে যেতে বসেছে। উপার্জন ভালো না হওয়ায় বাড়ির পুরুষেরা যারা দীর্ঘদিন কাজ করে দক্ষ শ্রমিক, তারাও অন্যান্য কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। নতুন করে কোন ছেলেরাও মাটির তৈরি জিনিসের প্রতি আগ্রহী নয়।
আরও পড়ুন: নন্দকুমারের এই মন্দির মাকে ভোগে দেওয়া হয় কাঁকড়ার পদ! জানুন
পুরুষরা কয়েক দশক আগে থেকেই মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করে। তবে এখন বাড়ির মহিলাদের হাতেই চালিত হচ্ছে ব্যবসা। পুরুষেরা ব্যবসা থেকে সরে দাঁড়ালেও। নিজেদের পূর্বপুরুষের ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মহিলারা। নিজের হাতে তৈরি করে নিজেরাই বিক্রি করছেন বাড়ির মহিলারা। জানা যায়, সারা বছর মাটির তৈরি জিনিসপত্রের খুব একটা চাহিদা থাকে না। পূজা পার্বণ আচার অনুষ্ঠানে চাহিদা থাকে মাটির তৈরি জিনিসের। সেই মত সারা বছর সংসারের কাজ সামলে জিনিসপত্র তৈরি করে মজুত রাখে বাড়ির মহিলারা,ভালো বিক্রির আশায়।
রাকেশ মাইতি
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Howrah