হোম /খবর /হাওড়া /
ফেলে দেওয়া ভাঙা টালির টুকরোতে ঋষি, মনীষীর, ছবি

Howrah News: ফেলে দেওয়া ভাঙা টালির টুকরোতে ঋষি মনীষীর ছবি

X
টালির [object Object]

Howrah News: এক একটি টালি সাজিয়ে নিরাপদে মাথা গোঁজার আশ্রয় গড়ে ওঠে। সেই টালি কি না হারিয়ে যাচ্ছে।

  • Share this:

হাওড়া: টালির উপর অবাক করা শিল্পকর্ম! গ্রাম বাংলার মানুষের অতি পরিচিত। এ গ্রাম বাংলায় জুড়ে দেখা মেলে সারিসারি টালির ছাদ বা টালির ছাউনি ঘর। তবে গ্রামের এমন দৃশ্যও হারিয়ে যেতে পারে। হয়ত হারিয়ে যাবে খড় পাতার ছাউনির ঘর বাড়ির মতোই। হাওড়া জেলার গ্রামাঞ্চলে যদিও এখনও বহু টালির বাড়ি খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু তা আর কতদিন! মনে করছেন আমতা ছোট মহড়ার এক চিত্রশিল্পী। কারণ যে ভাবে দ্রুত গতিতে কংক্রিটের ঘরবাড়ি তৈরি হচ্ছে। তার সূত্র ধরে বলা যেতেই পারে হয়ত এই টালিও হারিয়ে যাবে। হয়ত এটা আমরা নিয়ে খুব বেশি মাতামাতিও করিও না। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে মানুষের কাছে একটি টালির গুরুত্ব যে অসীম। এক একটি টালি সাজিয়ে নিরাপদে মাথা গোঁজার আশ্রয় গড়ে ওঠে। সেই টালি কি না হারিয়ে যাচ্ছে।

তা উপলব্ধি করেন হাওড়ার আমতা ছোটমহড়ার সুব্রত কাঁড়ার। তার চিন্তাভাবনায় শিল্পকর্মের মধ্যেই হারিয়ে গিয়েও, এ বাংলায় থেকে যাবে টালি। সেই ভাবনা থেকেই ভাঙা ছোট টালির টুকরোতে ফুটে উঠেছে ঋষি মনীষী ও স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছবি।

আরও পড়ুন: দেউলিয়া হয়ে গেছে পাকিস্তান! প্রকাশ্যেই তা স্বীকার করে নিলেন খোদ মন্ত্রী, এবার কী হবে?

আরও পড়ুন: ১ লিটার দুধের প্যাকেট ২১০ পাক রুপি, ১ কেজি চিকেন ছুঁয়েছে ৭৮০ পাক রুপি, খাবারের আকাশছোঁয়া দামে নাভিশ্বাস পাকিস্তানবাসীর

গত বছরের শেষ সময় থেকে প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। সুব্রত জানায়, তিন থেকে পাঁচ সেন্টিমিটারের টালির টুকরো। তাতেই অ্যাক্রিলিক রঙের সাহায্যে ছবি। এরকম এক একটি টালি টুকরোতে ছবি আঁকতে সময় লাগছে তিন থেকে চার মিনিট। তাতেই স্পষ্ট ফুঁটে উঠেছে রবি ঠাকুর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, মাদার টেরেজা মত ঋষি মনীষী থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামী।

সুব্রতর মা, সুমিত্রা কাঁড়ার জানায়, বেশ কিছুদিন আগে থেকে ভাঙা টালির টুকরো খোঁজ শুরু করেছিল ছেলে। তখন বুঝে উঠতে পারিনি কী হতে চলেছে। তবে এমন কাণ্ড হবে ভাবিনি। টুকরো টালির তুলির টানে সৃষ্টি হয় ঋষি, মনীষী, স্বাধীনতা সংগ্রামীর আবক্ষ ছবি। এই শিল্পকর্ম অবাক করার মতোই। পাড়া-প্রতিবেশী সকলেই আনন্দিত, ইতিমধ্যেই সুব্রতকে উৎসাহ দিতে স্থানীয় বিধায়ক হাজির হয়ে ছিলেন তাঁর বাড়িতে। ছেলের এই কর্মকাণ্ডে দারুণভাবে গর্বিত বাড়ির সকলে। এ প্রসঙ্গে সুব্রতর বাবা, হিরণ বাবু জানান, গ্রামকে ভালবেসেই ছেলের এই কর্মকাণ্ড, তাতে তাঁরা প্রত্যেকেই ভীষণভাবে খুশি। আমরাও চাই ওর ইচ্ছামত ছবিকে নিয়েই বড় হোক।

রাকেশ মাইতি

Published by:Uddalak B
First published: